নিউইয়র্ক     মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে টুইটার বন্ধের হুমকি দিয়েছিল মোদি সরকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৩ | ১১:২৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৩ | ১১:২৯ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
ভারতে টুইটার বন্ধের হুমকি দিয়েছিল মোদি সরকার

টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি । ছবি- সংগৃহীত

২০২০ ও ২০২১ সালে ভারতে কৃষক বিক্ষোভ চলাকালে দেশটির সরকারের সমালোচনা করে যারা পোস্ট দিয়েছিল সেগুলো সরাতে অনুরোধ করা হয়। নইলে টুইটার বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলো মোদি সরকার। সোমবার টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি ইউটিউব নিউজ চ্যানেল ব্রেকিং পয়েন্টসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ অভিযোগ করেন। তবে ভারত অভিযোগটি অস্বীকার করেছে।

জ্যাকের অভিযোগ, ওই সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ না করলে ভারতে টুইটার বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছিল দেশটির সরকার। এমনকি টুইটারের কর্মচারীদের বাড়িতে তল্লাশির হুমকিও দেয়া হয়েছিল বলে দাবি জানিয়েছেন ডরসি।

তবে টুইটার প্রতিষ্ঠাতার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টির অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। তার দাবি, জ্যাক ডরসি দায়িত্বে থাকাকালীন ২০২০ এবং ২০২২ সালের মধ্যে বহুবার ভারতের আইন ভেঙেছে টুইটার। টুইটারকে শুধু আইন মানতে বলা হয়েছিল। তাদের কোনও কর্মীকে জেলে পাঠানো হয়নি বা ভারতে টুইটার বন্ধও করা হয়নি বলে জানান রাজীব।

এদিকে জ্যাকের এই অভিযোগকে সামনে রেখে সরকারের সমালোচনায় নেমেছে কংগ্রেসসহ ঘরোয়া রাজনীতির বিরোধীরা। ২০২০ সালে মোদি সরকার সংসদে তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন পাশ করেছিল। তার তীব্র বিরোধিতায় নেমে পড়েছিল কৃষক সংগঠনগুলি। অবশেষে চাপের মুখে পড়ে বিতর্কিত ওই তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় মোদি সরকার।

কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, ২০১৪ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সামাজিকমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করতে থাকে মোদি সরকার। ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে বিশ্বের ১৮০টা দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান সম্প্রতি ১৬১তম-তে নেমে এসেছে। অথচ মোদির ক্ষমতা গ্রহণের সময় ২০১৪ সালে তা ছিল ১৪০তম। সূত্র: গার্ডিয়ান, আলজাজিরা

শেয়ার করুন