নিউইয়র্ক     সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেলিভিশনে বক্তব্য দেয়ার সময় ভারতের সাবেক এমপিকে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৩ | ০২:০৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৩ | ০২:০৩ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
টেলিভিশনে বক্তব্য দেয়ার সময় ভারতের সাবেক এমপিকে হত্যা

ভারতের সাবেক এমপি আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত

পুলিশের কড়া পাহারার মধ্যেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের কারাগারে থাকা গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ আহমেদ। এ সময় তাদের মাথা লক্ষ্য করে পর পর গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গুলি মাথায় লাগায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আতিকের। শনিবার রাতে মেডিকেল চেক আপের জন্য পুলিশি পাহারায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাদের। এসময় হঠাৎ পুলিশের সামনেই আতিক এবং তার ভাই আশরফকে লক্ষ্য করে গুলি চালান আততায়ীরা। চিৎকার করে স্লোগানও দেন। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য।

গত শুক্রবার উত্তরপ্রদেশ স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে তার ছেলে ১৯ বছর বয়সী আসাদ আহমেদ নিহত হওয়ার মাত্র একদিন পরে এই ঘটনা ঘটল। আতিক আহমেদের আইনজীবী এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফ আহমেদকে যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন ভিড়ের মধ্যে থাকা এক ব্যক্তি তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। তিনি আরও জানান, হত্যাকারী ব্যক্তি ওই দুই ভাইয়ের খুব কাছেই ছিল। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা আরও জানিয়েছে, সম্ভবত একাধিক ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল এবং তারা সবাই ছদ্মবেশে এসেছিল।

হত্যাকাণ্ডের সময় সেখানে বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল লাইভ চলাকালে আতিক ও তার ভাই হাঁটতে হাঁটতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ভিডিও থেকে দেখা গেছে, আতিক এবং তার ভাই আশরাফ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন এমন সময় এক ব্যক্তি তাদের ওপর গুলি চালিয়ে দেয়। প্রথমে আতিক আহমেদের মাথায় গুলি করা হয়। ঠিক তার পরপরই গুলি করা হয় আশরাফ আহমেদকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় একজন পুলিশ কনস্টেবল ও একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। পাশাপাশি র‌াজ্যে সব ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আতিক আহমেদ উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টি থেকে নির্বাচিত লোকসভা সদস্য ছিলেন। তার বিরুদ্ধে খুন, অপহরণসহ শতাধিক মামলা রয়েছে। এমনকি অভিযোগ রয়েছে, তিনি বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়ক রাজু পাল এবং তার আইনজীবী উমেশ পালকে হত্যা করেছেন। ২০১৯ সালে অপহরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। গত মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তার আবেদনের শুনানি করতে অস্বীকার করে, যেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, পুলিশের কাছ থেকে তার জীবনের হুমকি রয়েছে। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল

এসএ/এমএএস/এমউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন