নিউইয়র্ক     সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ভুল রয়েছে বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ভুল রয়েছে বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে কিছু ভুল রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। চলমান এ সংঘাতে গাজায় হাজার হাজার বেসামরিক মানুষের সঙ্গে শিশুদের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নিউইয়র্ক সিটিতে রয়টার্স নেক্সট নিউজমেকার ইভেন্টে গাজায় সংঘাত নিয়ে গত বুধবার (০৮ নভেম্বর) বক্তব্য দেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তখন গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে বেসামরিক মানুষের নিহতের ঘটনায় আবারও কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। অধিক সংখ্যক বেসামরিক মানুষের এ প্রাণহানিই বলে দিচ্ছে, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে স্পষ্টত কিছু ভুল রয়েছে।’

গুতেরেস আরও বলেন, ‘হামাস যখন নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, তখন তা আইন লঙ্ঘন করে বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে নিহত বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সংখ্যার দিকে তাকালে দেখা যায়, স্পষ্টতই সেখানে কিছু ভুল কিছু রয়েছে। আমরা গাজায় কয়েক দিনে হাজার হাজার শিশুকে হত্যা করতে দেখেছি।’

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। হামাস ও ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর গাজায় সাড়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে শিশু ও অপ্রাপ্তয়স্কদের সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি, যা মোট নিহতের সংখ্যার ৪০ শতাংশ।

গুতেরেসের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান : এদিকে, গুতেরেসের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলে জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। তিনি বলেন, ‘গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া মৃত্যুর সংখ্যা বিশ্বাসযোগ্য নয়।’

গাজায় রোগ সংক্রমণের প্রবণতা বাড়ছে : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় রোগ সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ইসরায়েলি বোমা হামলার কারণে অঞ্চলটিতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা এবং বিশুদ্ধ পানি সংকট ও আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের উপচেপড়া ভিড়ের কারণে এই ঝুঁকি বেড়েছে। এতে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। গতকাল বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’।

ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় জ্বালানির অভাবে পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্টও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে অবিশুদ্ধ ও লবণাক্ত পানি পান করতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের, যা ডায়রিয়ার মতো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়েছে।

ডব্লিউএইচও বলছে, গাজায় অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে ৩৩ হাজার ৫৫১ জনেরও বেশি মানুষ ডায়রিয়ায় ভুগেছে, যাদের বেশিরভাগই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু। একই বয়সী ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুর এ সংখ্যা গত দুই বছরের মাসিক গড় সংখ্যার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২১ ও ২০২২ সালে প্রতি মাসে গড়ে পাঁচ বছরের কম বয়সী ২ হাজার শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়।

শেয়ার করুন