দুইবারের অস্কারজয়ী ব্রিটিশ অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ গ্লেন্ডা জ্যাকসন শুক্রবার (১৬ জুন) সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ৮৭ বছর বয়সে লন্ডনে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সমর্থনে নিউইয়র্কের পর দ্বিতীয় কনসার্টটি হয়েছিল লন্ডনে। ৫২ বছর আগে বাংলাদেশের সমর্থনে অনুষ্ঠিত সেই কনসার্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন গ্লেন্ডা জ্যাকসন।
অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ গ্লেন্ডা জ্যাকসন। ছবি : সংগৃহীত
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, ৫০ বছর বয়েসে সফল চলচ্চিত্র ও মঞ্চ ক্যারিয়ার ত্যাগ করে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য হয়েছিলেন গ্লেন্ডা। ১৯৯২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত উত্তর লন্ডনে লেবার এমপি হিসাবে হাউস অফ কমন্সে যোগ দেন। এর মধ্যে ১৯৯৭ সাল থেকে টনি ব্লেয়ারের নতুন সরকারে জুনিয়র পরিবহনমন্ত্রী হিসাবে দুই বছর দায়িত্বে ছিলেন। পরে তিনি অভিনয়ে ফিরে আসেন এবং ২০১৬ সালে মঞ্চে ‘কিং লিয়ার’ চরিত্রে অভিনয় করেন। তারপর ২০২০ সালে টিভি নাটক ‘এলিজাবেথ ইজ মিসিং’-এ পর্দায় ফিরে বাফটা অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন।
অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ গ্লেন্ডা জ্যাকসন। ছবি : সংগৃহীত
জ্যাকসনের সাবেক আসনে থাকা লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক এক টুইটবার্তায় বলেন, আমার পূর্বসূরি গ্লেন্ডা জ্যাকসন মারা গেছেন শুনে আমরা মর্মাহত। একজন শক্তিশালী রাজনীতিবিদ, একজন অসাধারণ অভিনেত্রী এবং আমার জন্য খুব সহায়ক পরামর্শদাতা ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের এক মুখপাত্র বলেছেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক খবর। গ্লেন্ডার বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে আমাদের সমবেদনা থাকবে।
অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ গ্লেন্ডা জ্যাকসন। ছবি : সংগৃহীত
১৯৩৬ সালে ইংল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বিরকেনহেডে জন্মগ্রহণ করেন গ্লেন্ডা জ্যাকসন। লন্ডনের রয়্যাল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্ট-এ স্কলারশিপ পাওয়ার আগে কিশোরী বয়সে একটি অপেশাদার থিয়েটার গ্রুপে যোগ দেন। স্নাতক শেষ করার পরে তিনি লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ডে অভিনয় করেছিলেন। ১৯৭০-এর দশকে আন্তর্জাতিক তারকা হয়ে ওঠেন তিনি। ১৯৬৯ সালের পিরিয়ড ড্রামা ‘উইমেন ইন লাভ’-এ অলিভার রিডের বিপরীতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে প্রথম অস্কার পুরস্কার লাভ করেন। তিনি বিবিসির নাটক ‘এলিজাবেথ আর’-এ রানী প্রথম এলিজাবেথ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক
এসএ/এমএএস/এমইউএ/টিএ/পরিচয়
