মাগুর মাছ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। ১০০ গ্রাম মাগুর মাছে আছে ৮৬ ক্যালরি, ১৫ গ্রাম প্রোটিন, ২১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২৯০ মিলিগ্রাম ফসফরাস ও শূন্য দশমিক ৭ মিলিগ্রাম আয়রন।
যারা মাগুর মাছ খেতে পছন্দ করেন, তারা এবার স্বাদ পাল্টাতে তৈরি করতে পারেন মাগুর মাছের পাতুরি। অর্থাৎ ভাপে মাগুর মাছ রান্না করা। পুষ্টিবিদদের মতে, ভাপা হলো রান্নার সর্বোত্তম পদ্ধতি। এতে খাদ্যের পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।
ইলিশ বা চিংড়ি ভাপা যেভাবে রান্না করা হয় মাগুর ভাপার পদ্ধতিটিও প্রায় এক রকম। তবে মাগুর ভাপার ঝামেলা কম। সরিষা, পোস্ত বা নারকেল বাটার দরকার পড়ে না। উপকরণ সামান্য। খেতেও ভারি চমৎকার।
উপকরণ: মাগুর মাছ ৬ টুকরো, জিরা বাটা বা গুঁড়া দেড় চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল পরিমাণমতো, টিলের টিফিন বক্স (ঢাকনা যেন শক্তভাবে আটকে থাকে)।
পদ্ধতি: প্রথমে মাগুর মাছ খুব ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর জিরার গুঁড়া সামান্য পানিতে গুলে নিন। গাঢ় পেস্ট হতে হবে। এরপর হলুদ ও মরিচের গুঁড়াও সামান্য পানিতে গুলে নিন। এতে গুঁড়া মসলার মধ্যেও বাটা মসলার মতো স্বাদ আসবে।
এরপর কাঁচা মরিচ বেটে নিন। তারপর একটি পাত্রে মাগুর মাছ, জিরা বাটা, হলুদ, কাঁচা মরিচ, লবণ ও পরিমাণমতো সরিষার তেল নিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন।
ম্যারিনেট করা মাছ ২০ মিনিট দিয়ে ঢেকে রেখে দিন। এরপর টিফিন বাক্সে ম্যারিনেট করা মাছ রেখে দিন। তারপর বড় কড়াই নিয়ে তার মধ্যে স্ট্যান্ড বসিয়ে টিফিন বক্সটি বসিয়ে দিন।
বক্সের মুখ যেন না খোলে। প্রয়োজনে বক্সের ঢাকনার উপরে কোনো ভারি জিনিস বসিয়ে দিতে পারেন। এরপর পাত্রে পানি ঢালুন। টিফিন বক্সের বাইরের অর্ধেক তল অবধি যেন পানিতে ডুবে থাকে।
তারপর কড়াইয়ে ঢাকনা দিয়ে আধা ঘণ্টা মাঝারি আঁচে রেখে দিন। আধা ঘণ্টা পর আঁচ বন্ধ করে দিলেও টিফিন বক্সটি খুলবেন না। ঘণ্টাখানেক পর টিফিন বক্স খুলে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন স্বাদে সেরা মাগুর মাছ ভাপা।