নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘অপরাধী’ ড. ইউনূস ও কিছু তথ্য

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ | ০৭:০৮ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ | ০৭:০৮ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
‘অপরাধী’ ড. ইউনূস ও কিছু তথ্য

মাহফুজ আনাম : শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের ক্ষমতা কাঠামোর সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করে বিচার ও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। প্রথমত, তাকে ‘গরিবের রক্তচোষা’, ‘ঘুষখোর’ বলে অভিযুক্ত করা হয়। এরপর যখন বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর ঋণ আটকে দেয়, তখন তাকে এই বলে দায়ী করা হয় যে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে এটি করিয়েছেন। এ ছাড়া, বিদেশে বক্তৃতা থেকে তিনি যে সম্মানী পান, তা সরকারের করমুক্ত সুবিধার আওতায় বৈধ চ্যানেলে দেশে আনলেও, তার বিরুদ্ধে বারবার ট্যাক্স ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়।

এসব অভিযোগের জন্য কখনো সামান্যতম প্রমাণ সামনে আনা হয়নি। তবুও, বছরের পর বছর ধরে তাকে অপমানিত করা হয়েছে। ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগের বিষয়ে বারবার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে, বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, তিনি যে ৫০টির মতো প্রতিষ্ঠান গড়েছেন, সেগুলোর একটিতেও তার এক শতাংশ মালিকানাও নেই এবং এগুলো থেকে পারিশ্রমিক, ফি বা লাভ হিসেবে তিনি এক টাকাও নেন না। স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে মানুষের কল্যাণে তিনি এসব কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু, এসব প্রতিবাদ কখনোই আমলে নেওয়া হয়নি।

কে এই ড. ইউনূস, যিনি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার শাস্তি পেলেন? সারাবিশ্বে সর্বোচ্চ সম্মানিত, সমাদৃত ও স্বীকৃত হিসেবে যাদের নাম উচ্চারিত হয়, ড. ইউনূস তাদেরই একজন।

তিনি এমন একটি ধারণার প্রবর্তক, যা উন্নত বিশ্বে ঝড় তুলে দিয়েছে, যা বিশ্বের অনেক দেশে এমনকি সবচেয়ে ধনী ও অগ্রসর দেশের কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছে। এটি হলো দরিদ্রদের স্বল্প আকারে ঋণ দেওয়া, যাকে বলা হয় ‘ক্ষুদ্রঋণ’। আধুনিক পুঁজিবাদী অর্থনীতির স্তম্ভ ব্যাংক ব্যবস্থা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ‘ব্যাংক ব্যবহারে অযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে ব্যাংকিং সুবিধার আওতা থেকে বাদ দিয়ে দেয়, কারণ ঋণের বিপরীতে গ্যারান্টি হিসেবে দেওয়ার মতো কোনো জামানত থাকে না তাদের। ‘ক্ষুদ্রঋণ’ ধারণাটি এ দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করে সম্পদহীন দরিদ্রদের ঋণদান করে। পুঁজির অভাবে ছোট পরিসরেও যারা ব্যবসার উদ্যোগ নিতে পারেনি, সারাবিশ্বের এমন কোটি কোটি মানুষের সামনে ঋণের নতুন এক জগত খুলে দেয় তার সে ধারণা। তিনি বলতে চেয়েছেন, ‘ঋণ’ পাওয়া মানুষের অধিকার। নারীদের কেন্দ্র করে ক্ষুদ্রঋণ প্রসারে তার যে কর্মপদ্ধতি, ‘সহায়হীন নারীদের’ দিয়ে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যে লড়াই, তা অসংখ্য সামাজিক বিধিনিষেধ ও প্রাচীন কুসংস্কার ভেঙে দিয়েছে। ৯৭-৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধের মাধ্যমে ওই নারীরা ব্যাংকের দেউলিয়া হওয়ার ভয় এবং ঋণ পরিশোধের হারকে চ্যালেঞ্জ করেছে, যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় বিশ্বের সেরা ব্যাংকগুলোকেও। আর্থিক কেলেঙ্কারি, জালিয়াতি ও ঋণখেলাপিতে জর্জরিত আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাতের কথা আর উল্লেখ না-ই করলাম।

তার সে চিন্তা দরিদ্রদের ঋণ দেওয়াতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং তারা কীভাবে ব্যবসা শুরু করবে, পরিচালনা করবে, হিসাব রাখবে, ব্যবসা চালিয়ে যাবে—সেসব শেখানোও এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠী সমাজের বোঝা থেকে উৎপাদনশীল শ্রেণিতে পরিণত হয়েছে। আমরা বর্তমানে আমাদের গ্রামে-গঞ্জে উৎপাদনশীলতার যে বিপ্লব দেখছি, তার জন্য সরকারের নীতির অনেক ভূমিকা আছে, কিন্তু এর বেশি না হলেও অন্তত সমান ভূমিকা রেখেছে এই ‘ক্ষুদ্রঋণ’, যা আমাদের গ্রামগুলোর দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দক্ষ উদ্যোক্তা হওয়ার মূল নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।

সহজ কথায় বলতে গেলে, এটি দুই ধরনের সামাজিক পরিবর্তনকে এক সুতোয় বুনেছে—একটি অর্থনৈতিক ও অপরটি সামাজিক। প্রথমটি, দরিদ্রদের সহায়তা করা এবং দ্বিতীয়টি, দরিদ্রদের মধ্যে সবচেয়ে বঞ্চিত অংশ নারীদের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।

প্রচলিত ব্যাংকিং ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পর, তিনি আধুনিক ব্যবসা পদ্ধতি—যার মূল উদ্দেশ্য মালিকের ‘লাভ’—সেই মৌলিক ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে একটি নতুন ধারণার প্রবর্তন করেছেন। আধুনিক পুঁজিবাদ সমাজের উপরের ও নিচের অংশের মধ্যে আয়ের যে বিস্তর ব্যবধান এবং সম্পদের যে বৈষম্য, তার পরিপ্রেক্ষিতে ড. ইউনূস ‘সামাজিক ব্যবসা’র প্রস্তাব করেন, যেখানে ব্যবসা ‘পরিচালনা’ হবে একইভাবে, কিন্তু এর নীতিমালা থাকবে ‘সমাজ’কে লক্ষ্য রেখে, ব্যক্তি মুনাফাকে নয়। এখানে ‘লাভ’ ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক। এটি আধুনিক পুঁজিবাদের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করে, যার গুরুত্ব বুঝতে হয়ত বিশ্ববাসীকে আরও অপেক্ষা করতে হতে পারে এবং কে জানে হয়ত এজন্য তিনি দ্বিতীয়বার নোবেল পুরস্কারও পেতে পারেন।

দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রযুক্তিও যে ভূমিকা রাখতে পারে, এমন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন উদ্যোগের কৃতিত্বও দেওয়া যেতে পারে অধ্যাপক ইউনূসকে। যেমন, যখন মোবাইল ফোন বিশ্বের যেকোনো দেশে বিলাস পণ্য হিসেবে বিবেচিত হতো, তখন বাংলাদেশের গ্রামীণ নারীদের দারিদ্র বিমোচনে তাদের উদ্যোক্তা-দক্ষতা ব্যবহার করে টেলিযোগাযোগ সেবাদানে কাজে লাগানো হয়েছিল, যার মাধ্যমে ওই নারীরা বিশ্বব্যাপী ‘টেলিফোন লেডি’ নামে পরিচিতি লাভ করেন। এছাড়া, টেলি-শিক্ষা, টেলি-মেডিসিন, মশা নিরোধক, কম খরচে পানি পরিশোধন এবং আরও অনেক প্রযুক্তির প্রসারে তার অবদান অপরিসীম।

বিশ্ব যখন তার এসব অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে সম্মানিত করে, আমরা তখন তাকে কারাগারে পাঠাই।

অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের ২৪টি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬১টি সম্মানসূচক ডিগ্রি পেয়েছেন। তিনি ১০টি দেশের রাষ্ট্রীয় সম্মাননাসহ ৩৩টি দেশ থেকে ১৩৬টি সম্মাননা পেয়েছেন। ফরচুন ম্যাগাজিন তাকে ২০১২ সালে ‘সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা’ আখ্যা দিয়েছিল। টাইম, নিউজউইক এবং ফোর্বস ম্যাগাজিনের কভারে তাকে স্থান দেওয়া হয়েছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার, ইউনাইটেড স্টেটস প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম এবং ইউনাইটেড স্টেটস কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল পাওয়া ইতিহাসের মাত্র সাতজনের মধ্যে তিনি একজন। বিশ্বের ৩৯টি দেশের ১০৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক ব্যবসাকেন্দ্রিক বিভাগ, সেন্টার বা অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম আছে, যেগুলোকে সম্মিলিতভাবে ইউনুস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার বলা হয়। ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর অধ্যাপক ইউনূসকে রাশিয়ার ফিন্যান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। টোকিও অলিম্পিকে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি তাকে ‘অলিম্পিক লরেল’ সম্মাননা দিয়েছে। সম্প্রতি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ফুটবল সামিটে তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়াও, তিনি জাতিসংঘ এবং বেসরকারি বৈশ্বিক ফাউন্ডেশনসহ প্রায় সব বহুপাক্ষিক সংস্থার উপদেষ্টা পর্যায়ে কাজ করেছেন। এর বাইরেও তিনি বেশকিছু ইউরোপীয় দেশের রাজকীয় সম্মাননা পেয়েছেন।

বিশ্বমঞ্চে তিনি যত ধরনের স্বীকৃতি পেয়েছেন—সরকারি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সব প্রাপ্তি একত্রিত করলে এমন ধারণা করা ভুল হবে না যে ড. ইউনূস বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিতদের একজন এবং আমরা গর্বিত যে তিনি বাংলাদেশি।

আর এই মানুষটিকেই আমরা কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কেন? তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তিনটি শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছেন—চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া কর্মীকে স্থায়ী করেননি, কোম্পানির লভ্যাংশ দিয়ে কর্মচারী কল্যাণ তহবিল গঠন করেননি ও কর্মীদের নিয়মিত সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছেন। প্রথমত, তিনি গ্রামীণ টেলিকমের অ-নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং তিনি কোনো বেতন বা পারিশ্রমিক ছাড়াই এখানে স্বেচ্ছায় কাজ করেন। দ্বিতীয়ত, গ্রামীণ টেলিকম নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়। কারণ, গ্রামীণ টেলিকম যেসব ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেগুলো চুক্তিভিত্তিক। তৃতীয়ত, কল্যাণ তহবিলের ক্ষেত্রে গ্রামীণ টেলিকম একটি ‘নট ফর প্রফিট’ কোম্পানি হওয়ায় এর কোনো শেয়ারহোল্ডারও নেই, সেজন্য এর মুনাফাও কর্মীদের মধ্যে বণ্টনযোগ্য নয়, সম্পূর্ণ লভ্যাংশ কোম্পানিতে পুনর্বিনিয়োগ করা হয়। কর্মচারীদের নিয়মিত সুবিধা দেওয়া হয় না, এটা তথ্যভিত্তিক নয়।

তর্কের খাতিরে সরকারের অভিযোগগুলোকে সঠিক বলে ধরে নেওয়া যাক। তাহলে প্রশ্ন জাগে, শ্রম আইনের তথাকথিত যেসব লঙ্ঘন হয়েছে সেসব ক্ষেত্রে নিষ্পত্তির যে সুনির্দিষ্ট বিধান আছে, সেগুলো কেন অনুসরণ করা হয়নি? কোম্পানির করপোরেট বডির বিরুদ্ধে মামলা না করে, কেন চারজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা হলো? শ্রম আইনে স্পষ্টভাবে বাধ্যবাধকতা আছে যে মহাপরিদর্শক অথবা তার কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা ছাড়া কোনো ফৌজদারি মামলা গ্রহণ করা যাবে না, অর্থাৎ যিনি মামলা দায়ের করেছেন, আইনগতভাবে তিনি তা করতে পারেন না, যা এক্ষেত্রে মানা হয়নি এবং এটিও শ্রম আইন লঙ্ঘনের সমান।

এ ছাড়া, গ্রামীণ টেলিকমের মতো অলাভজনক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বিষয়াদি নিয়ে শ্রম আইনে যথেষ্ট অস্পষ্টতা আছে। আমাদের শ্রম আইন অনুযায়ী সব কোম্পানিকেই লাভজনক হিসেবে দেখা হয় এবং এ কারণে ‘অলাভজনক’ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ বিধান নেই। এগুলো শ্রম আইনের সীমাবদ্ধতা, যার জন্য আইন মেনে চলা নাগরিককে শাস্তি দেওয়া যায় না।

যাহোক, এ সবকিছু একটি জায়গায় এসে মিলে যায় যখন দেখা যায় যে, গত দেড় দশক ধরে আমরা একজন মানুষকে অপমান করে যাচ্ছি এবং এবার বেছে বেছে তাকেই শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি, যিনি তার সারাজীবন দরিদ্র ও বঞ্চিতদের জন্য কাজ করেছেন।

আমরা সারাক্ষণ চিৎকার করি যে, বিশ্বের কাছ থেকে আমাদের যতটুকু মূল্য পাওয়া উচিত, আমরা তা পাচ্ছি না। এবার তাহলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে আমরা যা করলাম, তাতে কি আমাদের মূল্য বাড়বে? আমরা চাই আমাদের তরুণরা আমাদের দেশের জন্য গর্ববোধ করুক। কিন্তু বিশ্ববাসী যাকে সম্মান করে, আমরা তাকে জেলে পাঠাই। এটা কি আমাদের তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে? আমরা চাই বিশ্ব আমাদের সম্মান করুক। কিন্তু বিশ্ব যাকে সম্মান দেখায়, তাকে আমরা অসম্মান করি।

এই লেখায় আমাদের উদ্দেশ্য কোনো পক্ষ সমর্থন বা কোনো মিনতি করা নয়, শুধু কিছু তথ্য উপস্থাপন করা। আমরা আশা করি, কীভাবে বিশ্বের সম্মানিত একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আইনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা আমাদের উচ্চ আদালত দেখবেন এবং বিশ্বের চোখে আমাদের আইনি ব্যবস্থার মর্যাদা পুনরুদ্ধার করবেন। মাহফুজ আনাম সম্পাদক ও প্রকাশক, দ্য ডেইলি স্টার

শেয়ার করুন