প্রথমে নারী, তাও আবার হিজাবী নারী রেল চালক নিয়ে প্রান্তিক দুই মৌলবাদী গোষ্ঠী, তথাকথিত“ধার্মিক” এবং তথাকথিত “সেক্যুলার” দুই দলেরই মেজাজ চরম খারাপ শেখ হাসিনার উপর।
ধার্মিকরা নানান কিসিমের উসিলা বের করছে। কেবল হিজাবে পর্দা হয় না, নেকাব করে শুধু চক্ষু দুইখানা খোলা থাকলেই পর্দা হবে। তারপরও শেষ নয়! পর্দাই যদি করবে, নারী ঘরের বাহির হবে কেন? মহর্রম ছাড়া তো নারী ঘরের বাহির হওয়ার কথা নয়! এই যে নারী ট্রেন চালাবে, তার পাশে কি প্রত্যেক দিন তার স্বামী বা বাপ, ভাই বসে থাকবে? ফিতনা ফিতনা ফিতনা … কেয়ামত আসতে আর বাকী নেই। এখন ঈমান নিয়েইতো টানাটানি শুরু হয়েছে। ঈমানী মানুষেরা কী করে একজন নারীর পিছনে পিছনে সারা শহরময় ভ্রমণ করবে? নারী আবার একলা, আবার সামনে বসা তাও সবার সামনে! লা হওলা ওয়ালা কুউয়াতা ….
আর স্যেকুলারগন! আহা! একজীবনে প্রমাণ করতে চাইলো ইসলাম নারীদের বন্দী করে রাখে। ইসলাম নারীদের প্রতি বর্বর। হিজাবী নারীদের চেয়ে হেন কোনো নির্যাতিত প্রাণী দুনিয়ায় নেই। হিজাব মানেই অশিক্ষিত, মূর্খ, নির্যাতিত।
এই হাসিনা আর কোন মানুষ পেল না কেবল এক হিজাবী নারী ছাড়া! যাদেরকে সারাজীবন মূর্খ, পরজীবী, দুর্বল প্রমাণ করতে এত জীবন এত শ্রম ব্যয় হয়েছে- আজ থেকে তাদের পিছন পিছন ভ্রমণ করতে হবে!!
সব দোষ এই শেখ হাসিনার!