নিউইয়র্ক     বুধবার, ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে বিশ্বকাপ মঞ্চে আরব পোশাক ‘বিশত’ পরেছিলেন মেসি

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৩:২১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৩:২১ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
যে কারণে বিশ্বকাপ মঞ্চে আরব পোশাক ‘বিশত’ পরেছিলেন মেসি

বিশ্বকাপ মঞ্চে ট্রফি হাতে নেওয়ার আগে ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসিকে বিশেষ এক কালো রঙের পোশাক পরিয়ে দিয়েছিলেন কাতারের বাদশাহ শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। প্রশ্ন উঠেছে কেন এই পোশাক পরানো হলো তাকে? এই পোশাক কেনই বা পরেন আরবরা?

‘বিশত’ কী?

আরব দেশে বহুল পরিচিত পোশাক ‘বিশত’। উল দিয়ে তৈরি এই পোশাক সাদা, ক্রিম, কালো, বাদামি, ধূসরসহ বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। আরব দেশের পুরুষরা পোশাকের উপরে এই বিশত পরেন। আরবি ভাষায় এই পোশাকটিকে ‘বিশত’ বলা হয়। ফার্সি থেকে এসেছে শব্দটি।

আরোও পড়ুন।জাতীয় দল থেকে অবসর নিলেন বেনজেমা

কোনো অনুষ্ঠান, বিয়ে, উৎসব বা বিশেষ দিনে এই বিশত পরা আবর দেশগুলোর পুরনো রেওয়াজ। এখনো এই রেওয়াজ বজায় রেখেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এই বিশেষ চাদর বা আলখেল্লাটি আরব দেশগুলোর আভিজাত্যের প্রতীক বলেও মনে করেন অনেকে। বিশত পরিয়ে সম্মান জানানোর প্রথা রয়েছে কাতারে। অনেকটা উপমহাদেশে ‘উত্তরীয়’ দিয়ে সম্মানিত করার মতো।

যে কারণে ‘বিশত’ পরা হয়

আরব দেশে শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিই এই পোশাক পরতে পারেন। রাজপরিবার, বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিয়ের দিনে বর, স্নাতক অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েটরা এই পোশাক পরতে পারেন। এক্সেটার ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক মোস্তফা বেগ জানান, শুধুমাত্র কিছু বাছাই করা ব্যক্তি এই বিশত পরতে পারবেন।

তিনি বলেন, তারা মূলত তাকে (মেসিকে) তার কাঁধে রেখে সম্মান করেছে। এটি একটি সম্মানের চিহ্নের মতো। এছাড়া এটি সাংস্কৃতিকভাবে স্বাগত জানানোরও মাধ্যম। এই শিক্ষাবিদ বলেন, মেসির জন্য তো এটার চেয়ে বড় মুহূর্ত হতে পারে না। তাকে সম্মানিত করতেই এই পোশাক দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে সংস্কৃতির মেলবন্ধন হিসেবেও দেখছেন মোস্তফা বেগ। তিনি বলেন, কাতারের এই উদ্যোগ চমৎকার। এটি খুবই আধুনিক চিন্তাড় বহিঃপ্রকাশ।

কী বললেন আয়োজকরা?

কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির সেক্রেটারি-জেনারেল হাসান আল-থাওয়াদি বলেছেন, এটি একটি আনুষ্ঠানিক সম্মান জানানোর পোশাক, আনন্দ উদযাপনের জন্য পরিধান করা হয়। মেসির উদযাপনের জন্য তাকে এটি পরানো হয়। তিনি বলেন, বিশ্বকাপে আমাদের আরব ও মুসলিম সংস্কৃতিকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার সুযোগ ছিল। এটি কাতার সম্পর্কে নয়, বরং একটি আঞ্চলিক উদযাপন ছিল। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল

শেয়ার করুন