নিউইয়র্ক     বুধবার, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম স্পিকার হিসেবে অনাস্থা ভোটে পদচ্যুত ম্যাককার্থি

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | ১২:১২ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | ১২:১২ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম স্পিকার হিসেবে অনাস্থা ভোটে পদচ্যুত ম্যাককার্থি

হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের সাবেক স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম স্পিকার হিসেবে অনাস্থা ভোটে পদচ্যুত হয়েছেন কেভিন ম্যাককার্থি। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব ছোট্ট ব্যবধানে পাশ হয়। এর মধ্য দিয়ে দেশটির কংগ্রেসের ২৩৪ বছরের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত একমাত্র স্পিকার হিসেবে পদচ্যুত হন ম্যাককার্থি। বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কয়েক দিন আগেই নিজ দল রিপাবলিকান পার্টি কতিপয় কট্টর ডানপন্থী নেতার বিরুদ্ধে গিয়ে সরকারের অচলাবস্থা এড়াতে স্টপগ্যাপ বিল পাস করান স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি। সেই কট্টরপন্থীদের একজন ম্যাট গেটজ ম্যাককার্থির স্পিকার পদে থাকার বিপরীতে কংগ্রেসে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করলে মঙ্গলবার তা ভোটে গড়ায়। প্রস্তাবটি ২১৬-২১০ ভোটে পাস হয়।

মার্কিন কংগ্রেসে বর্তমানে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান পার্টি সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে। দেশটির মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার নির্বাচন নিয়ে অচলাবস্থা দেখা দেয়। অবশেষে ১৫ দফা ভোটাভুটি শেষে কেভিন ম্যাককার্থি স্পিকার নির্বাচিত হন।

স্পিকার ম্যাককার্থিকে পদচ্যুত করতে তাঁর দলের কংগ্রেসম্যানের অনাস্থা প্রস্তাবস্পিকার ম্যাককার্থিকে পদচ্যুত করতে তাঁর দলের কংগ্রেসম্যানের অনাস্থা প্রস্তাব। ধারণা করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে ম্যাককার্থির রাজনৈতিক ধারাবাহিকতায় একটি বিরতি আসতে যাচ্ছে। যদিও তিনি বারবার বলেছেন, তিনি কখনোই হাল ছাড়বেন না, কিন্তু তাঁর সামনে কোনো সুযোগই উন্মুক্ত রাখেনি তাঁর দলের কট্টর ডানপন্থী গোষ্ঠীটি। পাশাপাশি তিসি স্টপগ্যাপ বিল পাস করিয়ে ডেমোক্র্যাট সরকারকে অচল হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিলেও তারাও তাঁকে সমর্থন দেয়নি।

এদিকে ভোটাভুটি শেষে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ম্যাককার্থি। তিনি আইনপ্রণেতাদের বলেছেন, তিনি আর কখনোই স্পিকার পদের জন্য লড়বেন না। তবে স্পিকার না থাকায় পরবর্তী স্পিকার কে হবেন তা নিশ্চিত না হওয়া এবং দুই দলের মধ্যে আসন ব্যবধান খুবই সামান্য হওয়ায় পরবর্তী স্পিকার নির্বাচন নিয়ে দেশটি আবারও অচলাবস্থার মধ্যেই পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা। আপাতত আগামী সপ্তাহের জন্য হাউসের সব কার্যক্রম মুলতবি করা হয়েছে।

শেয়ার করুন