নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেসির ইন্টার মিয়ামিতে যাওয়ার নেপথ্যে

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৩ | ০৬:০২ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৯ জুন ২০২৩ | ০৬:০২ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
মেসির ইন্টার মিয়ামিতে যাওয়ার নেপথ্যে

লিওনেল মেসি ও ডেভিড বেকহাম।

দু’দিন আগেও মনে হচ্ছিলো বার্সেলোনাতেই ফিরছেন লিওনেল মেসি। তার আগে মেসি পিএসজি ছাড়লেও পিএসজি কোনভাবেই ছাড়তে চায়নি মেসিকে। এছাড়াও ছিলো আল হিলালের বাৎসরিক ৬০০ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাবসহ কয়েকটি ইউরোপীয়ান ক্লাবের আগ্রহ। তবে বার্সায় ফেরাটাই মেসি এবং তার ফ্যানদের জন্য ছিলো সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক। আল হিলালে যোগ দিলেও পাওয়া যেতো মেসি-রোনালদোর সেই পুরোনো দ্বৈরথ। তবে সেসব সম্ভাবনায় জল ঢেলে মেসি নিজেই ঘোষণা দিলেন “মার্কিন মুল্লুককে ফুটবল দিয়ে রাঙাতে যাচ্ছেন তিনি”।

বার্সায় না ফেরার প্রসঙ্গে মেসি নিজেই জানিয়েছেন, তাকে এখন পর্যন্ত সাইন করার পুরো নিশ্চয়তা দিতে পারেনি বার্সা। ঘটনাটা অনেকটা ২০২১ সালের বার্সা থেকে বিদায়ের আগ মুহূর্তের মতোই লেগেছে মেসির কাছে। যার কারনেই মেসি জানিয়েছেন “২ বছর আগের মতো পরিস্থিতিতে তিনি আবারও পড়তে চান না। নিজের ভবিষ্যৎ পুনরায় অন্যের হাতেও তুলে দিতে চান না সদ্য বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক”। এছাড়াও আবারও শেষ মুহূর্তে বার্সা থেকে আছে মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা।

মেসি নিজেই জানিয়েছেন, ‘তাকে বার্সায় চান না এমন কিছু লোকও আছেন। আর সেটাও তিনি জানেন।’ তবে বিষয়টা যে বার্সার প্রেসিডেন্টের দিকে ইঙ্গিত করেছেন মেসি সেটা আগের ঘটনার দিকে তাকালেই বোঝা যায়। গুঞ্জণ আছে বার্সার ডিরেক্টর মাতেও আলেমেনিও আছেন এই তালিকায়।

তবে মেসি কিংবা তার ভক্তরা সেসব বুঝেন না। আর বুঝেন না বলেই হয়তো মেসিকে আরও কিছুদিন ইউরোপিয়ান ফুটবলে না দেখার আক্ষেপে পুড়ছেন তার অনুসারীরা। তবে মেজর লীগ সকারে নাম লেখানোর বিষয়টা যে সম্পূর্ণ পারিবারিক সেটাও স্পষ্ট মেসির কথায়। পিএসজির সময়টা তিনি এবং তার পরিবার মোটেই উপভোগ করেননি বলে জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা। এছাড়াও মিয়ামিতে রয়েছে মেসির মালিকানাধীন অ্যাপার্টমেন্টও। সুতরাং মানিয়ে নিতে সমস্যা হবেনা বোঝাই যাচ্ছে। আবার ইন্টার মিয়ামির বেতনের অঙ্কটা আল হিলালের চেয়ে অনেক কম হলেও মেসির চুক্তিতে আছে চটকদার কিছু প্রস্তাব। মেজর লিগ সকারের সম্প্রচার স্বত্ত্ব যাদের, সেই অ্যাপলের লভ্যাংশের ভাগ পাবেন মেসি। পাবেন ইন্টার মিয়ামির মূল স্পন্সর অ্যাডিডাসের আয়ের ভাগও। এছাড়াও অবসরের পর এই ক্লাবের আংশিক মালিকানাও পাবেন ফুটবলের এই ক্ষুদে জাদুকর।

এদিকে, মেসির যোগদানের ঘোষণার পরই সোস্যাল মিডিয়াগুলোতে হু হু করে বাড়ছে ইন্টার মিয়ামির ফলোয়ার সংখ্যা। ১০৩৪ শতাংশ বেড়েছে ইন্টার মিয়ামির ম্যাচের চাহিদাও। মেসির প্রথম ম্যাচের টিকেটের মূল্য মাত্র ২৯ ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২৯ ডলারে। সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে মার্কিনিদের ভাষায় সকার হতে যাচ্ছে মেসিময়। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল

শেয়ার করুন