নিউইয়র্ক     শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভূমিকম্পের ভয়াবহতার যে বর্ণনা দিলেন তুর্কি সাংবাদিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০২:২৮ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০২:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ভূমিকম্পের ভয়াবহতার যে বর্ণনা দিলেন তুর্কি সাংবাদিক

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা আরও বেড়েছে। দুই দেশের মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ১ হাজার ৬০০ ছাঁড়িয়েছে। সোমবার ভোরে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে লণ্ডবণ্ড হয়ে যায় কয়েক হাজার অবকাঠামো।

সংবাদ সংস্থা সিএনএনকে ভয়াবহ বর্ণনা দিতে গিয়ে এক তুর্কি সাংবাদিক ইয়াদ কুর্দি বলেন, ভোরে যখন ভূমিকম্প আঘাত হানে বাড়িতেই ছিলেন তারা। মনে হচ্ছিল এই কাঁপুনি কখনো থামবে না।

তিনি বলেন, আমরা আতঙ্কে শুধু পায়জামা পরে বের হয়েগিয়ে ছিলাম। আধা ঘণ্টা বৃষ্টির মধ্যে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। এরপর কম্পন থামলে ঘরে গিয়ে কোট আর জুতা পরে নেন।

অন্যদিকে, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের বর্ণনা দিয়েছেন বেঁচে ফেরা ২৫ বছরের ওজগুল বলেন, চোখের সামনে ভবনের জানালাগুলো সশব্দে চূর্ণবিচূর্ণ হতে দেখেছি। আমরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে বলি, তুমি কি কাঁপছ?

তিনি বলেন, আমি ল্যাম্পের (বাতি) দিকে তাকালাম। মনে হচ্ছিল ল্যাম্পটি ভেঙে যাচ্ছে। আমরা আমাদের তিন বছর বয়সের ভাতিজাকে সঙ্গে নিয়ে লাফিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। আমাদের চোখের সামনে আফটার শকে একটি ভবনের জানালাগুলো ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়।

ভূমিকম্পে ওজগুলদের ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের আশপাশের পাঁচটি ভবন ধসে গেছে। তিনি বলেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এখন খুব ঠাণ্ডা রয়েছে। তুষারপাত হচ্ছে। এটা আরেক উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। ওজগুল বলেন, সব লোক এখন রাস্তায় অবস্থান করছেন। তারা কী করবে, তা নিয়ে বিভ্রান্ত।

তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে তুরস্কের সাতটি প্রদেশের অন্তত দশটি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরগুলো হলো গাজিয়ান্তেপ, কাহরামানমারাস, হাতে, ওসমানিয়া, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস। এছাড়া সিরিয়ার আলেপ্পো, হামা এবং লাকাতিয়া শহরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ভূমিকম্পে।

শেয়ার করুন