নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩ দেশ সফরে কী বার্তা পেল বাংলাদেশ

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৩ | ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৩ মে ২০২৩ | ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩ দেশ সফরে কী বার্তা পেল বাংলাদেশ

এশিয়া, উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ মহাদেশের তিনটি প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে অত্যন্ত ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও কূটনীতি বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপট ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দিক থেকে প্রধানমন্ত্রীর এ সফর বাংলাদেশের জন্য অনন্য কূটনৈতিক অর্জন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরের আগে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখা’ ঘোষণা এবং টোকিওতে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে এই রূপরেখা ইতিবাচকভাবে উঠে আসার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য বড় কূটনৈতিক সাফল্য। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-জাপান ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’ উন্নীত হয়েছে। ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক সদর দপ্তরে বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ এবং বিশ্বব্যাংক-প্রধানের কণ্ঠে ‘গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা’র বিষয়টি এ সফরকে আরও বেশি সাফল্যমণ্ডিত করেছে। কারণ এর মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে গত প্রায় এক দশকের দৃশ্যত শীতল সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় ও উষ্ণতায় উন্নীত হয়েছে। যুক্তরাজ্য সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের যে উচ্চ প্রশংসা করেছেন, তা-ও মাইলফলক হয়ে থাকবে।

স্বাধীনতা-পরবর্তী ৫০ বছরে জাপান বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী দেশ। তবে গত নভেম্বরে জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে একটি মন্তব্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে জাপানের বর্তমান নেতৃত্বের সম্পর্ক নিয়ে একধরনের সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সংশয় এবার পুরোপুরি দূর হয়েছে টোকিওতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিপুল সংবর্ধনায় স্বাগত জানানো এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে সফল দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের মধ্য দিয়ে। বৈঠকের পর জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বৈঠকে বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা; প্রতিরক্ষা সংলাপ; সফর বিনিময়; শিক্ষা, প্রশিক্ষণ কর্মশালা, সেমিনার, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং এর সঙ্গে প্রাসঙ্গিক অন্য কোনো সম্মত কার্যক্রমের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার হবে। জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সহযোগিতা স্মারক সই হয়েছে। এর ফলে মেট্রোরেলের ক্ষেত্রে সহযোগিতা, মেট্রোরেল নীতি, আইন ও প্রবিধান বিষয়ে সহযোগিতা, অবকাঠামো, নিরাপত্তানীতি ও ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়বে। এ ছাড়া দুই দেশই নিজেদের দূতাবাসে প্রতিরক্ষা উইং চালু করতে সম্মত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর টোকিও সফর শেষ হওয়ার পর ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এই সফরকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, ‘এ সফরে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বানও জানিয়েছেন। বিশেষ করে দুপক্ষের মধ্যে এ অঞ্চলের সব দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এমন উন্মুক্ত ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনা অনেক বেশি প্রাণবন্ত এবং গতিশীল হয়েছে। এর কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফরের আগে বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল (আইপিএস) ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের আইপিএসের সঙ্গে জাপানের আইপিএসের অনেকে একযোগে কাজ করতে সক্ষম হবে।’

তিনি আরও বলেছেন, আইপিএস শুধু যুক্তরাষ্ট্রের একক একটি উদ্যোগ বললে ভুল বলা হবে। মূলত এই আইপিএসের রূপরেখা দিয়েছিলেন জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। প্রকৃতপক্ষে আইপিএস একটি অগ্রসর চিন্তার ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে সমৃদ্ধ এবং শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক বা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলা সম্ভব। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের উদ্যোগে গঠিত কোয়াড কোনো সামরিক জোট নয়। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে (বিআরআই) বাংলাদেশের সংযুক্তির বিষয়টি ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক নয়।’ রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘আগের রাষ্ট্রদূত ব্যক্তিগতভাবে যে মন্তব্যই করুন না কেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কিংবা অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে জাপান কোনো বক্তব্য দেবে না। জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব বাড়াতে চায়, এটাই জাপানের বর্তমান নেতৃত্বের লক্ষ্য।’ রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বর্তমান সরকারে সঙ্গে জাপানের নেতৃত্বের সম্পর্কের দৃঢ়তাই প্রকাশিত হয়েছে।

পদ্মা সেতু নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একধরনের দূরত্ব গত প্রায় ১০ বছর ধরেই দেখা গেছে। তবে সব প্রতিকূলতা ও সমলোচনা জয় করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত পদ্মা সেতু নির্মাণে সফল হয়। সেই সফলতার পরপর এবারই প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে যান। সেখানে বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেন। বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিস মালপাস এবং প্রাক্তন অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বব্যাংকের অর্থবহ ভূমিকা রাখার ক্ষেত্র চিহ্নিত করে বেশ কিছু পরামর্শ দেন। বিশ্বব্যাংক-প্রধান তার বক্তব্যে গত এক যুগে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সক্ষমতার প্রশংসা করেন। ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বেরও। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সম্পর্কের টানাপড়েনের অবসান ঘটেছে। বিশ্বব্যাংক-প্রধানের এ প্রশংসা বৈশ্বিক অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানকেও বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ ও উন্নয়ন সহযোগিতা আরও জোরদারে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে। ফলে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং স্মার্ট বাংলোদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

এবারের সফরের শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যান যুক্তরাজ্যে। সেখানে যুক্তরাজ্যের রাজা চার্লসের আড়ম্বরপূর্ণ অভিষেক অনুষ্ঠানে বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নেন। এ সফরের সময় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন ঋষি সুনাক। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একজন সফল অর্থনৈতিক নেতা হিসেবে অভিহিত করেন এবং যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বের জন্যও অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এ অঞ্চলের উন্নয়নের রোল মডেল আখ্যায়িত করেন এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, ভূমিহীন ও গৃহহীন বাংলাদেশের জনগণকে সরকারি খরচে বাড়ি দেওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তার গৌরবময় ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। সুনাক বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অন্যদের জন্য অনুকরণীয়। ঋষি সুনাকের এই বক্তব্যও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবেই বিবেচনা করা যায়।

এ বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতি বিশ্লেষক হুমায়ুন কবির বলেন, জাপান সফরকে অবশ্যই এ সময়ের বিবেচনায় সফল বলতে হবে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরের আগে যে ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখা দিয়েছে বাংলাদেশ এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। নিরাপদ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তোলার বিষয়ে এ আলোচনা বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক শুধু নয়, আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলেও বাংলোদেশের জন্য ইতিবাচক। বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাপানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। এবার জাপানের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে জাপান এ সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখলে তা অবশ্যই একটি বড় অর্জন হবে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, জাপান বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ। সেই সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের সফরের মধ্য দিয়ে আরও বিস্তৃত এবং গতিশীল হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

হুমায়ুন কবির বলেন, ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছেন, বিশ্বব্যাংক-প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এটাও বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক। আর যুক্তরাজ্য সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল সেখানকার রাজার অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া। এর ফাঁকে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীও শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরটি অবশ্যই বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলা যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফর আগের অন্যান্য সফরের তুলনায় আলাদা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। কারণ এ সফরটিতে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রাষ্ট্র সফর করেছেন। জাপান এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষ দেশ এবং যুক্তরাজ্য ইউরোপের অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশ। একটি সফরে এশিয়া, উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের তিনটি শীর্ষ অর্থনীতির দেশে যাওয়া এবং প্রতিটি দেশেই প্রধানমন্ত্রীর সফল বৈঠক বর্তমান বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেক বড় কূটনৈতিক অর্জন। ইউক্রেন পরিস্থিতিতে বিশ্ব রাজনীতিতে যখন একধরনের অস্থিরতা চলছে, সে সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রে সফর করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আর কয়েক মাস পরেই জাতীয় নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রীর এ সফর তাই জাতীয় রাজনীতির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ড. দেলোয়ার আরও বলেন, ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে নতুন মাত্রার উষ্ণ সম্পর্কের যাত্রা শুরু হয়েছে। যুক্তরাজ্য সফরে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকও বড় একটি মাইলফলক। বৈঠকে ঋষি সুনাক যেভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন, সেটাও তাৎপর্যপূর্ণ। এর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক যুগে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে অগ্রগতি হয়েছে তার বড় স্বীকৃতিও মিলেছে। এই স্বীকৃতি সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, সন্দেহ নেই। – প্রতিদিনের বাংলাদেশ

সাথী/পরিচয়

শেয়ার করুন