ফিফার টাকা নিয়ে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম ও ব্যারিস্টার সুমন কোনো ধরনের মতামত প্রকাশ করতে পারবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।একইসাথে মতামত দেয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে বাফুফে সভাপতিকেও।
বুধবার (১৪ জুন) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে ১৩ জুন ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে নিয়ে সকল মানহানিকর বক্তব্য সরাতে কাজী সালাউদ্দিন নিজেই রিটটি দায়ের করেন। ৬ জুন ফুটবল ফেডারেশন ও কাজী সালাউদ্দিনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা করায় ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনসহ মোট ১৭ ব্যক্তি-সংস্থাকে আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসির মাধ্যমে আইনি নোটিশ দেন কাজী সালাউদ্দিন।
পরে কাজী সালাউদ্দিন গণমাধ্যমে বলেন, জীবনে প্রথমবার আমি হাইকোর্টে এসেছি। এসব বিষয় নিয়ে আদালতে আসাটা আমার জন্যে দুঃখজনক। মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকল মানহানিকর বক্তব্য সরাতে ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন বাফুফে সভাপতি।
এর আগে ৬ জুন ফুটবল ফেডারেশন ও কাজী সালাউদ্দিনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা করায় ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনসহ মোট ১৭ ব্যক্তি/সংস্থাকে আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসির মাধ্যমে আইনি নোটিশ দেন কাজী সালাউদ্দিন।
ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল ফেডারেশন ও কাজী সালাউদ্দিনকে নিয়ে প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা করে থাকেন। এই আইনজীবী ছাড়াও বাফুফে থেকে সদ্য পদত্যাগ করা নির্বাহী সদস্য আরিফ হোসেন মুন, ক্রীড়া সংগঠক শাকিল মাহমুদ চৌধুরীকেও এই আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি গণমাধ্যমে প্রচারিত কিছু সংবাদ এবং গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদান করা একটি টিভি চ্যানেল ও পত্রিকার সংবাদকর্মীদেরও আইনি নোটিশ দিয়েছেন সালাউদ্দিনের আইনজীবী।-সুত্র বাংলাদেশ জার্ণাল