নিউইয়র্ক     রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র জন্য কেনা বাড়ীকে অবিলম্বে স্বীকৃতি ও স্বাগত জানানোর অনুরোধ সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমানের

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৩ | ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১২:০৬ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র জন্য কেনা বাড়ীকে অবিলম্বে স্বীকৃতি ও স্বাগত জানানোর অনুরোধ সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমানের

নিউ ইয়র্ক : নিউইয়র্কে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক’র জন্য কেনা বাড়ীকে অবিলম্বে স্বীকৃতি ও স্বাগত জানানোর অনুরোধ জানিয়েছেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান।

তিনি এক বিবৃতিতে স্বাগত ‘জালালাবাদ ভবন’ উল্লেখ করে বলেন, নিউইয়র্কে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের জন্য কেনা বাড়ীকে অবিলম্বে স্বীকৃতি ও স্বাগত জানানোর জন্য সকলের প্রতি আমি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। আসুন, নিজস্ব ভবনে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করি।

মাহবুবুর রহমান বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, আমি, মাহবুবুর রহমান, ত্রিশ বছর আগে জালালাবাদের সভাপতি ছিলাম। আমার পরে এক ডজনেরও বেশী কমিটি জালালাবাদের দায়িত্ব পালন করেছেন বা করছেন। আমরা নির্বাচনী অঙ্গীকারে, সভা-সমাবেশে নানাভাবে আশ্বাস দিয়েছি, কেউ কেউ প্রচেষ্টাও নিয়েছি নিজস্ব ভবনের। কিন্তু পারিনি। ‘৯ মণ ঘিও মেলেনি, রাধার নাচও হয়নি’। আমাদের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে।

আমেরিকার ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেমে ‘নন-প্রফিট’ প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ প্রাপ্তি এক দুরূহ ব্যাপার। বাংলাদেশ সোসাইটির নিজস্ব ভবন কেনার সময় মরহুম এনামুল মালিক বড় অংকের অর্থ কর্জ দিয়েছিলেন। পরে সোসাইটি সে অর্থ পরিশোধ করে। মোহাম্মদ আজিজ সভাপতি ও রানা ফেরদৌস চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন মরহুম মালিকের পাওনার সর্বশেষ কিস্তি পরিশোধ করা হয়।

জালালাবাদ এসোসিয়েশন একটি নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন হওয়ায় এর নামে ঋণ পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ পৃথক কর্পোরেশন গঠন করে জালালাবাদের জন্য একটি বাড়ী কিনেন যা স্বপ্ন পূরণেন দ্বার খুলে দেয়। এ অবস্থায় যেখানে মইনুল ইসলামকে অভিনন্দন জানানোর কথা সেখানে তাঁকে তিরস্কার আয়োজনের খবর শুনে বিস্মিত হয়েছি। এ যেন ‘ভাত দেবার মুরোদ নেই, কিল মারার গোসাই’।

মাহবুবুর রহমান উল্লেখ করেন, মইনুল ইসলামের স্টেটমেন্ট (নীচে দেয়া আছে ইংরেজীতে) পড়েছি। আমি সন্তুষ্ট এতে। ভালো লোকেশন। বাংলা পত্রিকা ও সাপ্তাহিক নিউইয়র্কের অফিস ছিল এক ব্লক পরেই। ভবনের আয় ভালো। মর্টগেজ দেয়ার পর হাতে অর্থ থাকবে। এসোসিয়েশনকে ঘর়ভাড়া দিতে হবে না, এখন যা দেয়া হয় গাঁটের কড়ি খরচ করে। ভবনে সমাজকল্যাণ কাজের সুযোগও রয়েছে। এ ছাড়া ঘরের দাম ইতিমধ্যে অর্ধ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, মইনুল ইসলাম বলেছেন, তিনি ভবনের মালিকানা ও রেসপন্সিবিলিটি জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত। আমি পরামর্শ দেবো, তা গ্রহণে এসোসিয়েশন এখনই পদক্ষেপ নেবেন এবং ভবনে জালালাবাদের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা করবেন।

যারা বিরোধ পছন্দ করেন, আগুনে ঘৃতাহুতি বা উস্কানী দেন, বিবাদ-বিসম্বাদকে জিইয়ে রাখেন – আপনারা তাদের পরিহার করুন। সমঝোতার জন্য চাপ দিন। এতে কমিউনিটির মঙ্গল। আমি জানি, বর্তমান সভাপতি বদরুল খান একজন ত্যাগী সাহসী নেতা। আশা করবো, সমঝোতার পথে তিনি সবার আগে থাকবেন এবং নেতৃত্ব দেবেন।

তিনি বলেন, একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, জালালাবাদের ঐক্য সম্প্রীতিকে বাইরের মানুষ সম্মান করে, শ্রদ্ধা জানায়, কোন কোন ক্ষেত্রে সমীহও করে। এই সম্মান নষ্ট হতে দেয়া যায় না। বিভেদ-বিসম্বাদে জালালাবাদকে জর্জরিত করে যারা এর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইবেন জনগণ তাদের কখনো ক্ষমা করবে না।

জালালাবাদ এসোসিয়েশন অফ আমেরিকা ইনক এর বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা করা দরকার – কম্যুনিটি এক্টিভিষ্ট ওয়াসী চৌধুরী

নিউ ইয়র্ক : সংগঠনের সেক্রেটারি মইনুল ইসলাম যে বাড়ি জালালাবাদ ভবন (যাহা বর্তমানে ব্যক্তি মালিকানাধীন) বলে প্রচার করছে, সেই বাড়ির ক্রয় বাবত জালালাবাদ এসোসিয়েশন এর যে পরিমান টাকা দেওয়া হয়েছে, বাড়ি ক্রয় করতে তার অতিরিক্ত (লোন সহ, ভাড়া ও অন্যান্য এডজাস্টমেন্টের পর) যা খরচ হয়েছে, সংগঠনের উদ্যোগে সে টাকা বৃহত্তর সিলেট বাসির মধ্য থেকে ২৫-৩০ জন (সংখ্যা ভিন্ন হতে পারে) সমান ভাবে সংগঠনের স্বার্থে এককালীন সব লোন পরিশোধ করে মইনুল ইসলামের কাছ থেকে বাড়ির টাইটেল চেঞ্জ করে নেওয়ার উদ্যোগ নিতে পারেন। সেই সাথে যারা ( সেই ২৫-৩০ জন ) উনাদের সম্মানার্থে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অফ আমেরিকা ইনক এর সংবিধান সংশোধন করে উনাদেরকে সংগঠনের আজীবন বোর্ড অফ ডাইরেক্টরস / ট্রাষ্টি পদে দেওয়া যেতে পারে এবং পরবর্তীতে বাড়ির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে এই বোর্ড অফ ডিরেক্টরস / ট্রাষ্টির ২/৩ সংখ্যাগরিষ্ঠে অনুমোদন লাগবে বলে সংবিধানে উল্লেখ করা যেতে পারে অথবা জালালাবাদ এসোসিয়েশন বৃহত্তর সিলেটবাসী সবার কাছ থেকে টাকা তুলে লোন সহ অন্যান্য সমুদয় খরচ দিয়ে বাড়ির টাইটেল পরিবর্তন করার উদ্যোগ নিতে পারেন। মহান আল্লাহতায়ালা / সৃষ্টিকর্তা সহায় হোন।

শেয়ার করুন