নিউইয়র্ক     মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের ‘মজবুত’ অর্থনীতি উন্নত দৃষ্টিভঙ্গিতে সাহায্য করেছে – আইএমএফ প্রধান

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | ০১:৩১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | ০১:৩১ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
যুক্তরাষ্ট্রের ‘মজবুত’ অর্থনীতি উন্নত দৃষ্টিভঙ্গিতে সাহায্য করেছে – আইএমএফ প্রধান

আন্তর্জাতিক মুদ্র তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপক পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি, বিশ্ব অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী করে তুলছে। তবে উৎপাদনশীলতার নিম্নগামিতা রোধে আরো কিছু করা প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বলেন।  ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা সংবাদদাতাদের পূর্ব প্রস্তুত মন্তব্য থেকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির শক্তিশালী কার্যক্রম এবং নতুন বাজার অর্থনীতির কারণে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে।’ যুক্তরাষ্ট্রের বানিজ্য বিভাগের মতে, গতবছর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হয়েছিল আড়াই শতাংশ। যা উন্নত অর্থনীতি সম্পন্ন অনেক দেশের চেয়ে বেশি।

জর্জিয়েভা আরো বলেন, বাড়িঘরে খরচ এবং ব্যবসায়িক বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং সরবরাহের ধারাবাহিকতা সহজতর হয়েছে আর মুদ্রস্ফীতিও আগের প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত কমে এসেছে।

বিশ্বের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে ওয়াশিংটনে আইএমএফ-বিশ্ব ব্যাংকের বসন্তকালীর বৈঠকের কিছু দিন আগে তিনি এই বক্তব্য রাখলেন। এটি হচ্ছে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান আয়োজিত বছরের দু’টি বৈঠকের মধ্যে একটি।

তার মন্তব্যে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে জানুয়ারি মাসে যেমনটি পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল তার চাইতে দ্রুততর হবে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি। ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ২০২৪ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে তিন দশমিক এক এবং ২০২৫ সালে তা হবে তিন দশমিক দুই শতাংশ।

জর্জিয়েভা বলেন, ‘মুক্তির নিঃশ্বাস নিতে ইচ্ছে করছে। আমরা বিশ্বে মন্দা ও মুদ্রস্ফীতিকে পাশ কাটাতে পেরেছি যার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন কেউ কেউ।’ জর্জিয়েভা বলেন, চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা। যা বিশ্ব অর্থনীতিকে ভাঙ্গনের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।

তিনি জনসাধারণের ক্রবর্ধমান ঋণের বিষয়টি এবং ‘ব্যাপক অর্থে উৎপাদনশীলতা কমে আসার’ বিষয়কেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে তুলে ধরেন। আর এ জন্যই আইএমএফ আশা করে, এই মাঝের সময়টুকুতে প্রবৃদ্ধির হার তিন শতাংশের সামান্য বেশি হবে। যা তার আগেকার গড়ের চেয়ে কম।

বিশ্ব অর্থনীতিকে সারিয়ে তুলতে এবং উৎপাদনশীলতার চ্যালেঞ্জকে ঠিক করতে জর্জিয়েভা বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি এবং জনগণের ঋণকে সহনশীল স্তরে নিয়ে আসার ব্যাপারে কয়েকটি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন এবং ‘অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ওপর প্রতিবন্ধকতা’ দূর করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিরও আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন