নিউইয়র্ক     বৃহস্পতিবার, ৪ঠা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২০শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১২ বছর বয়সেই নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে সুবর্ণ

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪ | ০৭:২৮ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪ | ০৭:২৮ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
১২ বছর বয়সেই নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে সুবর্ণ

বিশ্বের কনিষ্ঠতম অধ্যাপক হয়ে আগেই নজির গড়েছিলেন। এবার আমেরিকার সর্বকনিষ্ঠ শিক্ষার্থী হিসেবে হাই স্কুল পাস করেও ইতিহাস তৈরি করতে চলেছেন সুবর্ণ বারি। মাত্র ১২ বছর বয়সে সুবর্ণ আইজ্যাক বারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যালভার্ন হাইস্কুল থেকে স্নাতক করেছেন। খবর আনন্দবাজার।

বুধবার (২৬ জুন) হাইস্কুলের ডিগ্রি হাতে পেয়েছেন সুবর্ণ। তবে ইতোমধ্যেই কলেজে ভর্তির ডাক পেয়েছেন তিনি।

সুবর্ণকে নিয়ে তথ্যচিত্রও তৈরি হয়েছে। কারণ, সুবর্ণকে ধরা হয় গড়পড়তা হিসাবের বাইরেই। কারণ, তিনি ‘বিস্ময় বালক।’ ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল নিউইয়র্কের প্রেসবিটেরিয়ান কুইন্স হাসপাতালে সুবর্ণের জন্ম। সুবর্ণের বাবা রশিদুল এবং মা শাহেদা তার অনেক আগেই বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় চলে গিয়েছিলেন।

মাত্র ছয় মাস বয়সে কথা বলতে শুরু করেছিলেন সুবর্ণ। অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নের জটিল সমস্যার সমাধান শুরু করেন দুই বছর বয়সে। পরিবারের সঙ্গে আমেরিকায় থাকেন সুবর্ণ। নিউইয়র্কের নাসাল কাউন্টির ম্যালভার্ন হাইস্কুলের সর্বকনিষ্ঠ ‘গ্র্যাজুয়েট’ তিনি। সুবর্ণ ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’-কে বলেছেন, স্নাতক হওয়ার জন্য খুবই উত্তেজিত এবং এটি তার জন্য একটি দীর্ঘ যাত্রা ছিল।

যদিও উচ্চবিদ্যালয়ের পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, নবম এবং ১১তম গ্রেড বাদ দিয়েছিল সুবর্ণ। চতুর্থ, অষ্টম ও দশম গ্রেড শেষ করে নিউইয়র্ক স্টেট রিজেন্টস পরীক্ষায় স্নাতক হওয়ার জন্য ম্যালভার্ন ইউনিয়ন ফ্রি স্কুল ডিস্ট্রিক্টে ১২তম গ্রেডে ভর্তি হন তিনি। খবর এবিসি নিউজ।

উচ্চবিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতার বিষয়ে সুবর্ণ বলেন, এটি একেবারেই চমৎকার অভিজ্ঞতা। আমি অনেক মহান মানুষের সাথে দেখা করেছি এবং গণিত, বিজ্ঞান এবং অন্যান্য শাখায় অনেক কিছু শিখেছি।

রেবেকা গোটেসম্যান, ম্যালভার্ন ইউনিয়ন ফ্রি স্কুল ডিস্ট্রিক্ট এর কে-১২ স্কুল কাউন্সেলিংয়ের পরিচালক সুবর্ণকে নিয়ে বলেছেন, ‘আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি যে, সুবর্ণ আমার একাডেমিক জীবনে দেখা সবচেয়ে ব্যতিক্রমী ছাত্র।’

১২ বছর বয়সী সুবর্ণ ইতিমধ্যেই দুটি বই লিখে ফেলেছেন। তিনি যে দুটি বই লিখেছেন, তার মধ্যে একটি ‘দ্য লাভ’। এই বইয়ে বিভিন্ন ধর্মের মেলবন্ধনের কথা লিখেছের সুবর্ণ। এই বই লিখে বিস্তর প্রশংসাও কুড়িয়েছেন। কঠিন বৈজ্ঞানিক সূত্রের চটজলদি সমাধান করতে সিদ্ধহস্ত সুবর্ণের তুলনা হয় আইজ্যাক নিউটন-অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের মতো বিজ্ঞানীদের সঙ্গে। গণিত এবং পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য সুবর্ণকে পূর্ণ বৃত্তি দিচ্ছে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়।

সুবর্ণ নিউইয়র্ক পোস্টের একটি প্রতিবেদনে বলেছের, বিশ্বের সবাইকে গণিত এবং বিজ্ঞান বুঝতে সাহায্য করতে চাই আমি। আমার লক্ষ্য একজন অধ্যাপক হওয়া এবং প্রয়োজনে সবাইকে সাহায্যের চেষ্টা করা।

মাত্র চার বছর বয়সে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছ থেকে স্বীকৃতি পায় সুবর্ণ। ছয় বছর বয়সে তিনি স্বীকৃতি পান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে নোবেলজয়ী কৈলাস সত্যার্থীর কাছ থেকে ‘গ্লোবাল চাইল্ড প্রডিজি’ পুরস্কার পেয়েছেন সুবর্ণ। সূত্র: আরটিভি।

শেয়ার করুন