নিউইয়র্ক     মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেতানিয়াহুর দৃষ্টিভঙ্গি ভুল তাই তার সঙ্গে একমত নয় বাইডেন

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৪ | ০৪:২৬ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৪ | ০৬:২৬ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দৃষ্টিভঙ্গিকে ভুল বলে আখ্যায়িত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্প্যানিশ ভাষার টিভি নেটওয়ার্ক ইউনিভিসনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেছেন, আমি মনে করি নেতানিয়াহু যা করছেন তা একটি ভুল। তার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে আমি একমত নই। এর আগে গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণকে নির্বিচারি এবং সামরিক পদক্ষেপ অতিরঞ্জিত বলে সমালোচনা করেছিলেন জো বাইডেন।

গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজ বলেছিল, নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছিলেন, ত্রাণকর্মী ও বেসামরিকদের সুরক্ষায় নির্দিষ্ট পদক্ষেপ না নিলে যুদ্ধে ইসরায়েলকে দেওয়া মার্কিন সহযোগিতা পুনর্বিবেচনা করা হবে। ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন নামের একটি ত্রাণ গোষ্ঠীর সাত কর্মী ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের পর এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেছেন, আমি যে আহ্বান জানাচ্ছি তা হলো শুধু একটি যুদ্ধবিরতি, যা আগামী ছয় থেকে আট সপ্তাহ হতে পারে। এতে খাবার ও ওষুধ দেশটিতে প্রবেশ করবে।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমালোচনা করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিত বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন বাইডেন। এসব বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে যুদ্ধবিরোধী অ্যাক্টিভিস্ট, মুসলিম ও আরব আমেরিকানরা। তারা গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলকে দেওয়া মার্কিন সহযোগিতা বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে অন্য যেকোনও দেশের চেয়ে বেশি মার্কিন বৈদেশিক সহযোগিতা পেয়েছে ইসরায়েল। যদিও রাশিয়া ২০২২ সালের ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণের পর কিয়েভকে দেওয়া তহবিল ও সামরিক সরঞ্জামে সরবরাহের ফলে গত দুই বছরে এই সহযোগিতা কিছুটা কমেছে।

যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলকে রক্ষা করে আসছে। গাজা যুদ্ধের বিষয়ে তিনটি খসড়া প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। তবে গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো একটি প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থেকে প্রস্তাবটি পাসের সুযোগ দিয়েছিল দেশটি।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত ও ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের। এই হামলার জবাবে গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ছয় মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনেছে কয়েকটি দেশ। তবে দেশটি তা অস্বীকার করে আসছে।

শেয়ার করুন