তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাতায়ে প্রদেশে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে ছিল ৮ বছরের শিশু ইজিত চাকমাক। ভূমিকম্পের ৫২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে তাকে। উদ্ধারের পর শিশুটির মুখে ছিল হাসি। ধ্বংস্তূপ থেকে বের করে তাকে তার অপেক্ষমাণ মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়। ইজিতের মা সন্তানকে ফিরে পেয়ে তখন কাঁদছিলেন।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ধ্বংস হওয়া ভবনের নিচ থেকে কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ। তবুও কাউকে কাউকে জীবিত উদ্ধার করছেন উদ্ধারকারীরা। ধ্বংসস্তূপের ভেতর পর্যন্ত পৌঁছানো কঠিন হয়ে উঠেছে তাদের জন্য। পাশাপাশি রয়েছে প্রতিকূল আবহাওয়াও। তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে, তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন।
এরপর দফায় দফায় আরও কয়েকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে তুরস্কে। এতে ধসে পড়েছে হাজার হাজার ভবন। এসব ভবনের নিচে আটকা পড়েছে বহু মানুষ। তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারী ও সাধারণ মানুষ। তবে উদ্ধারকাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র ঠাণ্ডা, তুষারপাত ও বৃষ্টি।
সিরিয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হোয়াইট হেলমেটের দাবি, ধ্বংসাবশেষ সরানো গেলে প্রাণহানি আরো বাড়বে। তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা বরাবরই ভূমিকম্প প্রবণ। দেশ দুটিতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৬৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে ৭ হাজার ১০৮ এবং সিরিয়ায় ২ হাজার ৫৩০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। – বিবিসি