নিউইয়র্ক     রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু: ১১ র‍্যাব সদস্য ক্লোজড

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ০১:৪৬ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ০১:৪৬ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু: ১১ র‍্যাব সদস্য ক্লোজড

নওগাঁয় র‍্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করছে র‌্যাব৷ জেসমিনের আটকের সঙ্গে জড়িত ১১ র‌্যাব সদস্যকে ‘ক্লোজ’ করার পর তদন্ত কমিটি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানানো হয়েছে৷ র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গত ২২ মার্চ ওই অভিযানে যারা ছিলেন, সেই ১১ জনকে তদন্তের প্রয়োজনে র‌্যাব-৫ এর ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়েছে৷ রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব এনামুল হকের অভিযোগে গত ২২ মার্চ নওগাঁ থেকে র‌্যাব আটক করে ভূমি অফিসের কর্মী জেসমিনকে৷

র‌্যাব হেফাজতে মৃত্যুর এই ঘটনায়হাইকোর্ট জেসমিনের লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তলব করেছে৷ র‌্যাবের কে কে জিজ্ঞাসাবাদে ছিল, তা-ও জানতে চেয়েছে আদালত৷ আটকের পর জেসমিন ও আরেক যুবককে আসামি করে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন এনামুল৷

এক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘‘যখন তাকে ধরা হয় তখন তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না৷ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের আগে তার মৃত্যু হয়েছে৷ এখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোনো দোষ দেখছি না৷”

এদিকে, নওগাঁয় র‍্যাবের হেফাজতে ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছের‍্যাবের ১১ সদস্যকে৷ র‍্যাব সদর দপ্তরে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে৷

রাজশাহীতে র‍্যাব-৫–এর কার্যালয়ে এ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র‍্যাবের ১১ সদস্য নওগাঁয় আবার তাঁদের কর্মস্থলে ফিরে যাবেন৷ জিজ্ঞাসাবাদের তালিকায় একজন মেজর, পুলিশের এএসপিসহ অন্যান্য সদস্য ও গাড়িচালক রয়েছেন বলে জানান তিনি৷

র‍্যাব সদর দপ্তর সুলতানা জেসমিন মৃত্যুর ঘটনায় গত সোমবার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে৷ ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র‍্যাব৷ ২৪ মার্চ সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়৷ এর পর থেকে সুলতানা জেসমিনের পরিবার অভিযোগ করে আসছে, তাকে র‍্যাব হেফাজতে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি হাইকোর্টও বিষয়টি জানতে চেয়েছিল৷

র‍্যাবের ভাষ্য, প্রতারণার অভিযোগে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়েছিল৷ আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ তাৎক্ষণিক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান৷

র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন জানিয়েছেন, এ ঘটনার তদন্ত চলছে৷ মৃত্যুতে কারও জড়িত থাকা বা গাফিলতির তথ্য পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ নওগাঁয় সুলতানা জেসমিনকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদে জড়িত র‌্যাব সদস্যদের মাঠের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি হাইকোর্টও বিষয়টি জানতে চেয়েছিল ৷-ডয়চে ভেলে

শেয়ার করুন