এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে কর্তৃত্ববাদী সরকারের দমন–পীড়নের বিপরীতে মানবাধিকার, বাক্স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের নিয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে কানাডাভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন এক্সচেঞ্জ (আইএফইএক্স)। সেখানে এই অঞ্চলের তিন নারী সাংবাদিকের ভূমিকা উল্লেখ করেছে তারা। সেই তালিকায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসার সঙ্গে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রোজিনা ইসলাম ও ভারতের রানা আইয়ুবের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে কাজ করা ১১৯টির বেশি সংস্থা ও সংগঠনের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক আইএফইএক্স। ৫ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি নিবন্ধে আইএফইএক্সের আঞ্চলিক সম্পাদক মং পালাতিনো লিখেছেন, ২০২২ সালে করোনা মহামারি বহু মানুষের দুর্দশা বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে অঞ্চলজুড়ে রাজনৈতিক সংকট ও সরকারি দমনপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও দেখা গেছে। দুর্নীতিপরায়ণ শাসকের পতনের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে, সাংবাদিকেরা দুর্নীতি প্রকাশ করেছেন, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন নারী এবং এসব আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছে সুশীল সমাজ।
এ আলোচনায় আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সংগঠনে ভূমিকা রাখা তরুণ শিক্ষার্থী এবং মিয়ানমারে জান্তা সরকারের নিপীড়ন ও হুমকির মধ্যে কাজ করে যাওয়া নারী সাংবাদিকদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের রানা আইয়ুব, বাংলাদেশের রোজিনা ইসলাম এবং ফিলিপাইনের মারিয়া রেসার কথা। বলা হয়েছে, তাঁদের মতো নারী সাংবাদিকেরা সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহির মুখোমুখি করতে স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমিকা রেখেছেন। সাংবাদিকতার জন্য নিপীড়নের শিকার হওয়ার পর তাঁরা বিপুলভাবে জনতার সমর্থন পেয়েছেন। মানুষের ঐক্যের এই শক্তি রাষ্ট্রীয় আক্রমণকে রুখে দেওয়ার সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। সুত্র দৈনিক প্রথম আলো
এসএ/এমএএস/এমউএ/টিএ/পরিচয়