নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের ৭.৬ মিলিয়ন ডলার দেবে সুইডেন

বাংলাদেশ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০১:২৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০১:২৩ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
রোহিঙ্গাদের ৭.৬ মিলিয়ন ডলার দেবে সুইডেন

ফাইল ছবি

রোহিঙ্গাদের জন্য ৭৯ মিলিয়ন ক্রোনা বা ৭.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা ঘোষণা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে দুই দিনের সফর শেষে তিনি এ সহায়তা ঘোষণা করেন। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই অনুদানের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের রান্নার জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানি, কক্সবাজারের পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের উন্নয়ন এবং শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশিদের দক্ষতা ও উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে। নিরাপদ জ্বালানি ও শক্তির জন্য এসব কর্মকাণ্ড জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) যৌথ কার্যক্রম ‘সেফ এক্সেস টু ফুয়েল অ্যান্ড এনার্জি প্লাস, ফেজ ২’ (সেফ+২) এর আওতাধীন।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে বলেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দানকারী স্থানীয় বাংলাদেশিদের জীবনে সেফ+২ প্রোগ্রামের ইতিবাচক প্রভাব দেখে আমি মুগ্ধ। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আগমনের একটি প্রভাব পড়েছিল কক্সবাজারের বনভূমির একটি বড় অংশের ওপর। আর সেফ+২’র মাধ্যমে বিস্ময়করভাবে শরণার্থী শিবিরগুলোর আশপাশের জায়গাগুলোতে পুনরায় সবুজায়ন ও পুনরায় বনায়ন হচ্ছে। এই যে শরণার্থীরা এখন পরিচ্ছন্ন জ্বালানির মাধ্যমে রান্না করছেন, এর মাধ্যমে বনভূমির ও তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে, আর পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশিরা দক্ষতা উন্নয়ন ও জীবিকামূলক কাজে জড়িত হচ্ছেন, এটা অসাধারণ একটি অর্জন। এখানে অবদান রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত।

ইউএনএইচসিআর’র বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও বলেন, সুইডেনের সরকার ও এর জনগণের এই অনুদানের মাধ্যমে আমরা ১ লাখ ৯০ হাজার শরণার্থী পরিবারকে লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) দিতে পারবো। এই পরিচ্ছন্ন জ্বালানি শরণার্থীদের সুস্থতা ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে, কেননা এর মাধ্যমে নিশ্বাসের সঙ্গে কম ধোঁয়া ঢোকে এবং এটি বনে লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা ও অন্যান্য সুরক্ষা ঝুঁকি রোধ করে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের একটি সফল পুনর্বাসন হবে এবং টেকসইভাবে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ কমবে।

এলপিজি ও উন্নত জ্বালানি-বান্ধব রান্নার সরঞ্জাম বিতরণের মাধ্যমে লাকড়ির ব্যবহার ও এর সঙ্গে গাছ কাটার পরিমাণ কমানো যায়। এই কার্যক্রমের প্রথম ধাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ রোধ করা সম্ভব হয়েছে। একই সময়ে গাছ লাগানো, পুনরায় বনায়ন এবং ঝিরি ও পানি নিষ্কাশনের বিভিন্ন প্রাকৃতিক ব্যবস্থার উন্নতির মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়াটি আরও কার্যকরী হয়। এই যৌথ কার্যক্রমে পরিবেশের উন্নয়ন ও কৃষিবিষয়ক দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগণকে সাহায্য করবে।

২০১৯ সালে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম এর নেতৃত্বে শুরু হওয়া সেফ+ কার্যক্রমটিকে প্রথম থেকেই সুইডেন সহায়তা দিয়ে এসেছে। প্রথম ধাপের সফলতা ও অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে ২০২২ সালের জুলাইতে এর দ্বিতীয় ধাপ সেফ+২ শুরু হয়। এই কার্যক্রমের দ্বিতীয় ধাপকে বর্তমানে সহায়তা দিচ্ছে সুইডেন ও কানাডা সরকার।

শেয়ার করুন