নিউইয়র্ক     রবিবার, ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়াবে চীন

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০২:৪১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০২:৫১ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়াবে চীন

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চীন প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। আগামীতে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ আরো বাড়বে বলেও জানান তিনি। গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। চীনা রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চীন বাংলাদেশকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে চীন আন্তরিকতার সঙ্গে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।’ এ সময় তিনি জানান, চীন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত রয়েছে। ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে চীন ৯৮ ভাগ পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করেছে। বাংলাদেশ-চায়না ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট করতে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে।’

বাংলাদেশে স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের বিষয়ে চীন খুবই আগ্রহী। আগামী নভেম্বরে চীনের সাংহাইতে অনুষ্ঠিতব্য চায়না ইমপোর্ট ফেয়ারে বাণিজ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মার্চে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ সামিটে চীন গুরুত্ব দিয়ে অংশগ্রহণ করবে। আগামীতে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ আরো বাড়বে।’ এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী চীনা রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তথা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন অনেক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এজন্য বাংলাদেশ চীনের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ আরো চীনা বিনিয়োগ প্রত্যাশা করছে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবধান অনেক বেশি। চীনে রফতানি বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। চীনসহ বিশ্বের অনেক দেশের বিভিন্ন কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছেন। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চীনের অবস্থান বেশ ভালো। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষিভিত্তিক শিল্প-কলকারখানা স্থাপন খুবই প্রয়োজন এবং এখানে বিনিয়োগ লাভজনক হবে।’ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইসিটি সেক্টরের গুরুত্ব অনেক বেশি। এ খাতে বিনিয়োগ চীনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।’ সুত্র দৈনিক বণিকবার্তা ফরাসী মিডিয়ায় বাংলাদেশের ভাসমান হাসপাতাল ও স্কুল

জলবায়ু পরিবর্তন, উষ্ণতা বৃদ্ধির মতো শব্দগুলো চলতে-ফিরতেই কানে আসছে। কারণ এসব বিষয় চলতি শতাব্দীর প্রধানতম চ্যালেঞ্জগুলোর অন্যতম। বিশ্বের যেসব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে রয়েছে, বাংলাদেশ তাদের শীর্ষে। কিছু মানুষ এ ভয়াবহতা বুঝতে পেরে নিজেদের মতো কাজ শুরু করেছেন। এ রকম দুই ব্যক্তি হলেন রুনা খান ও মোহাম্মদ রেজোয়ান।

ফরাসি গণমাধ্যম অয়েস্ট-ফ্রান্সের সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ‘হাউ টু ডিল উইথ গ্লোবাল ওয়ার্মিং’ নামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটিতে রুনা ও রেজোয়ানের কাজ নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে রুনাকে নিয়ে বলা হয়, ২০০২ সালে ফ্রেন্ডশিপ নামের একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন রুনা খান। দেশের চরাঞ্চল ও সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক অঞ্চলেই এনজিওটি কাজ করে। একটা পর্যায়ে ভাসমান হাসপাতাল নিয়ে কাজ শুরু করেন রুনা। ২০২২ সালের মধ্যে তার ভাসমান হাসপাতালের সংখ্যা দাঁড়ায় সাত। এখন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদেই ফ্রেন্ডশিপের কাজ সীমাবদ্ধ। হাসপাতালগুলোয় বাংলাদেশি ডাক্তারদের পাশাপাশি ডাচ, ইংরেজ ও ফরাসি ডাক্তারেরাও কাজ করেন। চোখের নানান ধরনের চিকিৎসা, অপারেশন, স্ত্রীরোগের চিকিৎসা করা যায় এসব হাসপাতালে।

প্রতিবেদনটিতে স্থপতি মোহাম্মদ রেজোয়ানের কাজ সম্পর্কে বলা হয়, ২০০২ সাল থেকে ভাসমান স্কুলের ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। ইতোমধ্যে তার স্কুলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০। প্রতিটা স্কুলের দৈর্ঘ্য ১৬ মিটার। এতে ক্লাসরুমের পাশাপাশি রয়েছে ছোট একটি খেলার মাঠ। শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের কম্পিউটার, ক্লাসরুমের বাতি ইত্যাদি চলে সৌর বিদ্যুতে। ভাসমান স্কুলের পাশাপাশি ভাসমান খামারের ধারণা নিয়েও কাজ করছেন রেজোয়ান। প্রাথমিকভাবে সবজি ও ড্রমে মাছ চাষ শুরু করেছেন তিনি।

ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ২০ শতাংশ ভূমি পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে। ফলে বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দেশের অভ্যন্তরে শরণার্থী হয়ে পড়তে পারেন। সূত্র : অয়েস্ট-ফ্রান্স ফেসবুক ব্যবহারে শীর্ষ তিনে বাংলাদেশ, প্রতিদিন দুই বিলিয়ন মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন

ফেসবুকে দৈনিক সবচেয়ে সক্রিয় (ডিএইউ) ব্যবহারকারীদের শীর্ষ তিনে রয়েছে বাংলাদেশ। গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির মূল প্রতিষ্ঠান মেটার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা। ফেসবুক গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এর মূল কোম্পানি মেটা জানিয়েছে, গত ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসেই প্রতিদিন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে গড়ে দুই বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ মানুষ প্রতিদিন ফেসবুক ব্যবহার করছেন।এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

মেটার প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০২২ সালে প্রতিদিন ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি প্রবেশ করেছেন বাংলাদেশ, ভারত ও ফিলিপাইনের মানুষ। ২০২২ সালে দৈনিক গড়ে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ ফেসবুকে ঢুঁ মেরেছেন, যা ২০২১ সালের তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি। কোন দেশের ক্রম কত তা অবশ্য প্রকাশ করেনি মেটা। নিবন্ধিত ও লগইন করা ফেসবুক ব্যবহারকারী যারা ওয়েবসাইট অথবা মোবাইল ফোনে অথবা মেসেঞ্জারে নির্দিষ্ট সময়ে প্রবেশ করে থাকেন তাদের ডিএইউ মনে করে মেটা। শুধু দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর শীর্ষে নয়, মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর তালিকারও শীর্ষ তিনে রয়েছে বাংলাদেশ। এই তালিকায় বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে ভারত ও নাইজেরিয়া।

কোম্পানিটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ জানিয়েছেন, তিনি এখন ব্যয় কমানোর দিকে নজর দিয়েছেন। ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো ফেসবুকের আয় কমেছে। অথচ এর আগের কয়েক বছর আয় বৃদ্ধির হার দুই অংকে ছিল। নতুন এই অবস্থা নিয়ে জাকারবার্গ বলেন, আমরা এখন একটি ভিন্ন পরিবেশে আছি। আমরা মনে করি না যে, এভাবেই সব চলতে থাকবে। আবার আমি এটাও মনে করি না যে, আগের মতো অবস্থায় ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে। ২০২২ সাল একটি চ্যালেঞ্জিং বছর ছিল। কিন্তু আমি মনে করি আমরা এর শেষের দিকে ভালো অগ্রগতি করেছি।

ফেসবুক ছাড়াও মেটার অধীনে আছে ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপেও। গত বছর এই কোম্পানিটি একটি বড় পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল। যার মধ্যে ছিল অফিসের জায়গা কমিয়ে আনা এবং বিশাল সংখ্যক কর্মীকে ছাঁটাই করা। এর ধারায় ১১ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে ফেসবুক, যা মোট কর্মীর ১৩ শতাংশ। এত সবের পরেও ২০২২ সালে ফেসবুক ২৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে বলে জানিয়েছে।

গত বছরই মেটা জানিয়েছিল, দৈনিক ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমছে। এটাই ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমার ঘটনা। তখন মেটা জানিয়েছিল তারা মেটাভার্স নামে পরিচিত ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপর বিনিয়োগে জোর দেবে। যদিও দ্রুতই ফেসবুকে ব্যবহারকারী আবার বাড়তে শুরু করেছে। ডিসেম্বর মাসে প্রতিদিন সাইটে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এমনকি ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডাতেও ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। বিবিসি।

শেয়ার করুন