নিউইয়র্ক     সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি

বাংলাদেশ ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২২ | ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২২ | ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষকরা বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আন্তর্জাতিক মর্যাদার স্থানে নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। এই শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষকরা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সুযোগ পাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) লন্ডনের হিলটন প্যাডিংটনে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদের সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকে নেত্রীবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন ঢাবি উপাচার্য।

আখতারুজ্জামান বলেন, কমনওয়েলথ স্কলারশিপের আওতায় একজন শিক্ষার্থী যে অর্থমূল্যের বৃত্তি পেয়ে থাকেন সরকার বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী স্কলারশিপেও সমমূল্যের বৃত্তির সুযোগ দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি হিসেবে কাজ করছে। ‘দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজ’ (এসিইউ) কাউন্সিল সভায় যোগ দিতে গত ২২ নভেম্বর লন্ডনে যান উপাচার্য আখতারুজ্জামান।

ঢাবির ক্লাব ইউকের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও একাত্তর টিভির বিশেষ প্রতিনিধি তানভীর আহমেদ বলেন, গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ঢাবির শতবর্ষ উৎসব আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল, অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজের মতো বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের পরিচালনা পরিষদের আরেক সদস্য ও থার্ড সেক্টর কনসালটেন্ট বিধান গোস্বামী বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে বসবাসরত যে সকল অ্যালামনাই ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন, তাদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগসূত্র স্থাপনের জন্যই কাজ করে যাচ্ছে ক্লাব ইউকে। তারই ধারাবাহিকতায় উপাচার্যের যুক্তরাজ্যে সফর উপলক্ষ্যে লন্ডনের হিলটন প্যাডিংটনে এই বৈঠকের আয়োজন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের করতে কাজ করছে বলে আশ্বস্ত করেন উপাচার্য। আন্তর্জাতিকীকরণের অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ ও বার্মিংহ্যামে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে এমওইউ স্বাক্ষর করেছে বলে জানান উপাচার্য।

এছাড়াও কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও মালয়েশিয়ার একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান তিনি। বৈঠকে ঢাবির যে সকল শিক্ষক বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপ, প্রধানমন্ত্রী স্কলারশিপ ও কমনওয়েলথ স্কলারশিপে যুক্তরাজ্যে অধ্যয়ন ও গবেষণা করছেন তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বায়োমেডিক্যাল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মামুন রাব্বানী, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসিফ ইমতিয়াজ, মনোবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইশরাত শাহনাজ, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আহমেদ ফয়সল সুমিত, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক একেএম ইফতেখারুল ইসলাম, ওর্য়াল্ড রিলিজিওন এন্ড কালচারের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসের সহকারী অধ্যাপক মোবারক হোসেনসহ অনেকে।

উপাচার্য আরও বলেন, ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো ‘দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভাসিটিজ এর কাউন্সিলর নির্বাচিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৮ সালের পর করোনা মহামরীর কারণে এসিইউর সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। চলতি বছর ট্রাস্টিদের বৈঠকে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা যোগ দেন।

তিনি বলেন, করোনা মহামারীর কঠিন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষায় পিছিয়ে পড়েনি এবং বিশ্ববিদ্যায়কে সেশন জটেও পড়তে হয়নি, বিষয়টিকে কমনওয়েলথের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইতিবাচকভাবে দেখেছে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পারস্পারিক সম্পর্ক হলে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রযুক্তিগত বিনিময়সহ নানা ক্ষেত্র চিহ্নিত হবে, আন্তর্জাতিকীকরণের ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে আগামী ২৭ নভেম্বর উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান দেশে ফেরার কথা রয়েছে। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

শেয়ার করুন