নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভার্জিনিয়ার সেনেট অ্যাসেম্বলিতে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ডব্লিউইউএসটি) ডব্লিউইউএসটির জয়গান

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৩ | ০৮:৩১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১২:০৬ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
ভার্জিনিয়ার সেনেট অ্যাসেম্বলিতে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ডব্লিউইউএসটি) ডব্লিউইউএসটির জয়গান

যুক্তরাষ্ট্রে একমাত্র বাংলাদেশি-আমেরিকান মালিকানাধীন বিশ্ববিদ্যালয় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ডব্লিউইউএসটি) নাম উঠে এলো ভার্জিনিয়ার স্টেট সেনেট অ্যাসেম্বলিতে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ভার্জিনিয়ার স্টেট সেনেট অ্যাসেম্বলিতে ফেয়ারফ্যাক্স স্টেট সেনেটর জন চ্যাপম্যান পিটারসন তার উপস্থাপনায় নিজের নির্বাচনী এলাকার এই বিশ্ববিদ্যালয়টির কথা তুলে ধরেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভার্জিনিয়ার ৪০টি ডিস্ট্রিক্টের স্টেট সেনেটররা। অ্যাসেম্বলি পরিচালনা করেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর উইনসাম আর্ল সিয়ার্স।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এতে যোগ দেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএফও ফারহানা হানিপ, বিজনেস স্কুলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক রবিনসন, জেনারেল এডুকেশন অ্যান্ড সেন্টার ফর স্টুডেন্ট সাকসেসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর ড. হুয়ান লি ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এমএসআইটির ছাত্র নাঈম হাসান।

সেনেটরের উপস্থাপনার পর লেফটেন্যান্ট গভর্নর উইনসাম আর্ল সিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান। পাশাপাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার বিস্তার ও ভবিষ্যতের জন্য আশা জাগানিয়া অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান।

২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০২১ সালে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বিশ্ববিদ্যালয়টির মালিকানা গ্রহণ করেন। এর পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি তার শিক্ষণ ও পরিচালন পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসে। যার মধ্য দিয়ে এটি দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যায় ও শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

২০২১ সালে প্রায় তিনশো শিক্ষার্থী নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর আবুবকর হানিপ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার যাত্রা শুরু করেন। দুই বছরের ব্যবধানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২০০ এর বেশি। যার মধ্যে পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলার কাম প্রাক্টিশনার শিক্ষক, সুসংগঠিত টিমওয়ার্ক, শ্রেণিকক্ষে কর্মস্থলের রেপ্লিকা সৃষ্টি করে দেওয়া বিশেষ শিক্ষাপদ্ধতি ও সেন্টার ফর স্টুডেন্ট সাকসেস প্রতিষ্ঠা এই সাফল্যের কারণ।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দারা ( গ্রিনকার্ড হোল্ডার) শিক্ষার্থীরাও এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের পাঠ্যস্থল হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।

পরে এক প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেন, প্রত্যেকটা কাজেরই একটা স্বীকৃতির প্রত্যাশা থাকে। স্টেট অ্যাসেম্বলিতে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কথা উঠে আসা একটি অন্যতম স্বীকৃতি। এতে আমাদের এগিয়ে চলার পথে নতুন উদ্দীপনা কাজ করবে।

তিনি বলেন, অ্যাসেম্বলি হলে স্টেট সেনেটর ও অন্য অতিথিরা যখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য করতালি দিচ্ছিলেন সে সময়টি আমাকে অবশ্যই গর্বিত করেছে। দৃশ্যটি আমার দীর্ঘদিন মনে ধরে থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির জন্য দিনটি ছিল স্মরণীয় হয়ে থাকার মতো একটি দিন।

ডব্লিউইউএসটির প্রধান অর্থ-কর্মকর্তা ফারহানা হানিপ বলেন, এই অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার। এতে সবাই আরও উদ্দীপ্ত হয়ে কাজ করবে। স্টেট পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি যে স্বীকৃতি পেলো নিঃসন্দেহে তা এর নতুন পথচলার উদ্দীপনা হয়ে থাকবে। একসময় ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকেও মিলবে এমন স্বীকৃতি এমনটাই প্রত্যাশা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত সবার।

স্টেট পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি যে স্বীকৃতি পেলো নিঃসন্দেহে তা এর নতুন পথ চলার উদ্দীপনা হয়ে থাকবে। একসময় ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকেও এমন স্বীকৃতি মিলবে, এমনটাই প্রত্যাশা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের।

শেয়ার করুন