নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ২৪শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফারাক্কার পানি চুক্তিতেও বঞ্চনার অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী  মমতার

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৩ | ০১:০৫ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৬ মে ২০২৩ | ০১:০৫ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ফারাক্কার পানি চুক্তিতেও বঞ্চনার অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী  মমতার

ফারাক্কার গঙ্গার পানিচুক্তি নবায়নের সময় যত এগিয়ে আসছে ফারাক্কা নিয়ে ততই বেশি সরব হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ফারাক্কার পানি বণ্টন চুক্তিতে বঞ্চনার অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার (৪ মে) পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার ইংরেজবাজারের এক জনসভায় পানি চুক্তি নিয়ে অভিযোগ করেন মমতা। কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে মমতা বলেন ফারাক্কার পানি চুক্তিতে বাংলাদেশকে পানি দেওয়ার পরিবর্তে ৭০০ কোটি টাকা রাজ্যকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার যা আজ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।

এদিন মালদায় গঙ্গার ভাঙন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতা বলেন, “গঙ্গার ভাঙ্গন ১০০ বছর ধরে চলছে, সবাই এসেছে চলে গিয়েছে। কিছুই করেনি অথচ গঙ্গার ভাঙ্গন সাবজেক্টটা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে আমাদের(রাজ্য সরকারের) অধীনে নেই। ফারাক্কা সেটাও কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে, তুমি(কেন্দ্রীয় সরকার) আমাদের জল বাংলাদেশকে দিলে, আমার আপত্তি নেই আমি হাসিনা জি কে আমি ভালবাসি। কিন্তু আমাকে যে তার পরিবর্তে ৭০০ কোটি টাকা দেবে বলেছিলে, আমার সরকারকে, আমার বাংলা গভর্নমেন্ট কে, তার এক পয়সাও তো দিলে না। বলতে বলতে মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছে। ৫০ বার প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছি। কিছুই দেয় না শুধুই নেয়।”

এর আগেও গত বছরের নভেম্বর মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিক চিঠি লিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফারাক্কা ব্যারাজ প্রকল্পের আরও প্রসার বা ব্যাপ্তি বাড়ানোর পরামর্শ দেন। চিঠির শুরুতে গঙ্গার নদী ভাঙ্গনে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন ফারাক্কা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ নদীভাঙন রুখতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে চিঠির শেষে ফারাক্কা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মমতা লেখেন, কলকাতা বন্দরের স্বার্থে ফারাক্কা ব্যারাজের মাধ্যমে ভারত সরকার হুগলি নদীর ভাগীরথীতে ৪০ হাজার কিউসেক পানি দিয়ে থাকে। এই পরিমাণ পানি অপর্যাপ্ত দাবি করে তাই চিঠির মাধ্যমে ফারাক্কার আরও পানি দাবি করেন মমতা।

প্রসঙ্গত আগামী চার বছরের মধ্যে (২০২৬ সালে) ৩০ বছর মেয়াদি ফারাক্কায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গার পানি চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। এমন অবস্থায় পানি চুক্তির পরিবর্তে মমতার বকেয়া অর্থের দাবি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে নতুন করে টানাপড়েন তৈরি হওয়া কিংবা ভাগীরথী নদীতে মমতার অতিরিক্ত পানির দাবিতে সোচ্চার হওয়া দিনের শেষে চাপে ফেলবে বাংলাদেশকেই। নাম প্রকাশ না করা শর্তে ভারতের বিখ্যাত নদী বিশেষজ্ঞের ধারণা ফারাক্কা চুক্তি নবায়নের সময় যত এগিয়ে আসবে ফারাক্কা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান ততো বেশি পরিষ্কার হবে। তার ধারণা তিস্তার মতই আসন্ন ফারাক্কার পানি চুক্তি নবায়নের সময়তেও বাংলাদেশের জন্য ড্যামেজ ফ্যাক্টর হতে পারেন মমতা।

শেয়ার করুন