নিউইয়র্ক     বুধবার, ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নজরদারি প্রযুক্তি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের হাতিয়ার-টিআইবির বিবৃতি

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ | ১১:৫২ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৩ | ০১:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
নজরদারি প্রযুক্তি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের হাতিয়ার-টিআইবির বিবৃতি

স্পিয়ারহেড নামের এই ব্যবস্থার মাধ্যমে আশপাশের প্রায় আধা কিলোমিটারের মধ্যে থাকা এনক্রিপ্টেড হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা, ফেসবুক চ্যাট, যোগাযোগের তালিকা, কল ও টেক্সট মেসেজ সংগ্রহ করা যায়ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ইসরায়েল থেকে বাংলাদেশ সরকারের নজরদারির প্রযুক্তি কেনা বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গত ১২ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, জনগণের করের টাকায় এমন ভয়ংকর হাতিয়ার কোনো সুনির্দিষ্ট আইন ও নীতি অনুযায়ী কেনা হলো, কী উদ্দেশ্যে, কোন প্রেক্ষিতে, কার স্বার্থে এর ব্যবহার হবে- এমন মৌলিক প্রশ্নের জবাব জানার অধিকার দেশবাসীর আছে। সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অনুপস্থিতিতে এমন প্রযুক্তির ব্যবহারে ব্যক্তিগত তথ্যের ও যোগাযোগের গোপনীয়তা, সুরক্ষা এবং বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ একাধিক সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ার ব্যাপক ঝুঁকি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে টিআইবি।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলের সাবেক এক গোয়েন্দা কমান্ডার পরিচালিত কোম্পানি থেকে নজরদারির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কেনে বাংলাদেশ, যা গত বছরের জুনে বাংলাদেশে পৌঁছায়। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড.ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের ও যোগাযোগের গোপনীয়তা, সুরক্ষা, বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হয় এবং সর্বোপরি ব্যক্তির জীবন ও জীবিকার জন্য হুমকি হতে পারে এমন প্রযুক্তি কেনা ও ব্যবহারের বিস্তৃত ও পরিধি সম্পর্কে সরকারের সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা জানার অধিকার দেশবাসীর আছে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ইসরায়েল থেকে সরাসরি কিছু কেনা হয়নি, সরকারের এমন ব্যাখ্যার অর্থ এই নয় যে- এই ইসরায়েলি প্রযুক্তি আমদানি করা হয়নি। প্রকাশিত সংবাদে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, ইসরায়েল ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় সাইপ্রাসের মাধ্যমে প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই কেনাকাটা করা হয়েছে। এমনকি এই প্রযুক্তি পরিচালনা বিষয়ে শিখতে এনটিএমসির কমান্ডার ও অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ২০২১ ও ২০২২ সালে গ্রিস সফর করেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। এই তথ্য মিথ্যা হলে তা প্রমাণ করার দায়িত্ব সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের। সর্বোপরি এই প্রযুক্তি যে সরকারের সংশ্নিষ্ট এজেন্সির হাতে ইতোমধ্যে এসেছে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। তাহলে মূল প্রশ্ন হলো, কোন নীতিমালা বা আইন অনুযায়ী, কার স্বার্থে, কী উদ্দেশ্যে, কোন পরিস্থিতিতে এই ভয়ানক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের মৌলিক অধিকার, তথা সংবিধানের লঙ্ঘন করা হবে। দেশবাসীর জ্ঞাতার্থে এসব প্রশ্নের স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য জবাব প্রকাশ করা সরকারের দায়িত্ব।

সুমি/পরিচয়

শেয়ার করুন