নিউইয়র্ক     রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তুরস্কে উদ্ধারকাজ শেষে বাংলাদেশে ফিরেছে প্রতিনিধি দল

বাংলাদেশ ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০১:৩৫ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
তুরস্কে উদ্ধারকাজ শেষে বাংলাদেশে ফিরেছে প্রতিনিধি দল

১০ দিনের সফল উদ্ধার অভিযান শেষ করে দেশে ফিরল প্রতিনিধি দলটি। ছবি: সংগৃহীত

তুরস্কের ভূমিকম্পে বাংলাদেশের সম্মিলিত উদ্ধারকারী ও মেডিকেল দল ১০ দিনের সফল উদ্ধার অভিযান শেষে দেশে ফিরেছে। আজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ৩২ মিনিটে দলটি দেশে এসে পৌঁছায়। গতকাল সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় মধ্যরাতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমানে দেশের পথে রওনা হন তারা। দলটি ৮ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের ভূমিকম্পের উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য দেশ ছাড়ে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারির হওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন শহরে ১০ দিনের সফল উদ্ধার অভিযান শেষ করে দেশে ফিরল প্রতিনিধি দলটি। গেল ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও তুরস্ক সরকারের অনুরোধে বাড়ানো হয় উদ্ধার অভিযানের মেয়াদ। সোমবার মধ্যরাতে আদানা বিমানবন্দর থেকে বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমানে করে বাংলাদেশের পথে রওনা হন তারা।

স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরপরই তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তত্ত্ববধানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত ও মৃতদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে বাংলাদেশি উদ্ধারকারী দল। কাজ করতে গিয়ে স্থানীয়দের শ্রদ্ধা, সম্মান আর ভালোবাসা পেয়েছেন দলের প্রতিটি সদস্য।

আরোও পড়ুন।অলৌকিক : ২৬০ ঘণ্টা পর তুরস্কে আরও দু’জন জীবিত উদ্ধার

তুরস্কের প্রশাসনিক পর্যায়েও বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দলের কার্যক্রম ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরের ২৪, মেডিকেল দলের ১০ ও ফায়ার ব্রিগেডের ১২ জনের সমন্বয়ে গঠিত উদ্ধারকারী দল ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৪ জন ক্রু গেল ৯ ফেব্রুয়ারি তুরস্কে পৌঁছায়।

উল্লেখ্য, তুরস্কে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ উদ্ধারকারী দল কর্তৃক উদ্ধারের সংখ্যা ২৪। এদের মধ্যে জীবিত উদ্ধার হয়েছেন একজন। বাকি ২৩ জনই মৃত। এর আগে, গত রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রায় দুই সপ্তাহ পর বেশিরভাগ প্রদেশে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছিল তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি)। সেদিন সন্ধ্যা নাগাদ অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে তুরস্ক।

গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ৪৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। তবে এই প্রাণহানির সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্মরণকালের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে কেবল তুরস্কেই ৩ লাখ ৪৫ হাজারের মতো অ্যাপার্টমেন্ট ধ্বংস হয়েছে। এখনও অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া ১০ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পরেছে। ভূমিকম্পের কারণে কোটি ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেশ দুটির। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল
এমইউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন