নিউইয়র্ক     শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝাউগাছ ও ফুলের তৈরি সেই শহীদ মিনার প্রশংসা কুড়াচ্ছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০৭:০৬ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০৭:০৬ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ঝাউগাছ ও ফুলের তৈরি সেই শহীদ মিনার প্রশংসা কুড়াচ্ছে

শহীদ মিনার। ছবি : প্রতিনিধি

দিনাজপুর খানসামার সাবেক গুলিয়াড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝাউগাছ ও ফুলের তৈরি নান্দনিক সেই শহীদ মিনার প্রশংসা কুড়াচ্ছে। সারা জেলার মধ্যে এটি একমাত্র ব্যতিক্রমি এই শহীদ মিনার। জানা যায়, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাঙালিরা যখন ইট-পাথর দিয়ে তৈরি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছেন, ঠিক এই সময়ই দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার সাবেক গুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝাউগাছ ও ফুল দিয়ে তৈরি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে বিভিন্ন মহলে প্রশসংসিত হচ্ছেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস।

ইতিপূর্বে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও টেলিভিশনে জেলার একমাত্র ঝাউগাছ দিয়ে তৈরি শহীদ মিনার নিয়ে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে বাগান পরিদর্শনে আসেন প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আরোও পড়ুন। তিন ঘণ্টা ‘হৃৎস্পন্দন বন্ধ’ থাকার পরও অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু

২১ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুরে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, গ্রিলে ঘেরা সুসজ্জিত ও নান্দনিক ফুল বাগানের এক কোণে কাঁটা মেহেদী ও গাঁদা ফুল দিয়ে তৈরি শহীদ মিনার আর শহীদ মিনারের পাদদেশে গাঁদা ফুল দিয়ে ২১ লেখা হয়েছে। এই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

গাছ ও ফুলের তৈরি এই শহীদ মিনারের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হলে ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানান অনেকেই। আশরাফুল রিফাত নামে এক তরুণ ফেসবুকে কমেন্ট করেন, একজন শিক্ষকের সৃজনশীল এমন কাজ আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। তাঁর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই আমরা।

এই বাগান ও শহীদ মিনারের মূল কারিগর ঐ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, গত বছরের মত এবারও নান্দনিক ফুল বাগানের এই শহীদ মিনারটি সাজানো হয়েছে। শহীদ মিনারের সাথে গাছ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন স্তম্ভ ও প্রতীকের কারণে বাগানের প্রতি শিক্ষার্থীদের সাথে দর্শনার্থীরাও অনেক বেশি আকৃষ্ট। এটিই আমার বড় প্রাপ্তি। তিনি আরও বলেন, সহায়তা পেলে এই বাগানের কাজ প্রসারিত করা যাবে।সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার এসএমএ মান্নান বলেন, সাবেক গুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ও বাগান অন্য স্কুলগুলোর জন্য অনুপ্রেরণা। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এমউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন