একযুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে আছে বিএনপি। রাজপথে আছে যুগপৎ আন্দোলনে। তাতে এবার হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টিকেও শামিল করতে চায় দলটি। আর এ উদ্যোগ দৃশ্যমান হয় ১৬ বছর পর বিএনপির ইফতারে জাতীয় পার্টির নেতাদের অংশ গ্রহণে। একইভাবে জাতীয় পার্টির ইফতারেও শামিল হন বিএনপি নেতারা। এছাড়া নানা সামাজিক অনুষ্ঠানেও এক টেবিলে দেখা গেছে দু’দলের নেতাদের।
এতে গুঞ্জন উঠেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কি আওয়ামী লীগ ছেড়ে, জোট বাঁধবে বিএনপির সঙ্গে? জানা গেছে, এরই মধ্যে দু’দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে হয়েছে কয়েক দফা আলোচনা। বিষয়টি স্বীকার করে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য দলীয় বৈঠকের অপেক্ষায় রয়েছেন জি এম কাদের। আর বিএনপি নেতারা মনে করছেন, বৃহত্তর স্বার্থে এবার তাদের সঙ্গে আসবে জাতীয় পার্টি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, এ নিয়ে নানা পর্যায়ে কথা হচ্ছে। জনগণ পরিবর্তন চায় উল্লেখ করে তিনি জানান, দলীয় নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনের আগেই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আলোচনার কথা স্বীকার করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বৃহত্তর স্বার্থে মতভেদ ভুলে সামনে এগোনোর লক্ষ্যেই জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা। আর এ ডাকে সাড়া মিলেছে বলেও দাবি তার। সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলেও মনে করছেন বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতারা। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল
এসএ/এমএএস/এমইউএ/টিএ/পরিচয়