নিউইয়র্ক     বুধবার, ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অ্যালায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লেবার-অ্যাসাল জর্জিয়া চ্যাপ্টারের বর্ণাঢ্য অভিষেক

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
অ্যালায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লেবার-অ্যাসাল জর্জিয়া চ্যাপ্টারের বর্ণাঢ্য অভিষেক

গত ২৮শে জানুয়ারী সন্ধ্যায় জর্জিয়ার আটলান্টার একটি হলে যুক্তরাষ্ট্রে এশিয়ার ৮ দেশ থেকে আগত বংশোদ্ভুতদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগঠন ‘অ্যালায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লেবার’ – অ্যাসাল জর্জিয়া চ্যাপ্টারের নতুন কমিটির বর্ণাঢ্য অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। অ্যাসাল’র প্রতিষ্ঠাতা এবং ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট স্বনামখ্যাত লেবার ইউনিয়ন লীডার মাফ মিসবাহ উদ্দীন জর্জিয়া চ্যাপ্টারের নতুন কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

জর্জিয়া চ্যাপ্টারের উইমেন্স কমিটির চেয়ার তানজিনা ইসলামের সঞ্চালনায় এবং বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ড. রশিদ মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাসাল’র ন্যাশনাল সেক্রেটারী করিম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে কী নোট স্পীকার ছিলেন ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির মেম্বার জর্জিয়া স্টেট সিনেটর শেখ রহমান। অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জর্জিয়া স্টেট সিনেটর নাবিলা ইসলাম, জর্জিয়া স্টেট রিপ্রেজেন্টেটিভ গাবে ওকোয়ে, ডেমোক্রেটিক পার্টর গুইনেট কাউন্টির চেয়ারম্যান ব্রেদা লোপেজ রোমেরো, অ্যাসাল’র ন্যাশনাল করেসপন্ডিং সেক্রেটারী জেড মাতালন প্রমুখ।

অ্যাসাল জর্জিয়া চ্যাপ্টারের অভিষিক্তরা হলেন : প্রেসিডেন্ট আবু লিয়াকত হোসেন, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সদরুল আমিন, সেক্রেটারি সৈয়দ আহমেদ আলী (চুন্নু), করেসপন্ডিং সেক্রেটারী ড. তানভীর আহমেদ শাওন, ট্রেজারার মোহাম্মদ নূর আলম, এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর সাদেক হোসেন, অর্গানাজিং ডাইরেক্টর মাহমুদ রহমান, উইমেন্স কমিটি চেয়ার তানজিনা ইসলাম, ইমিগ্রেশান ডাইরেক্টর সামির জাহান স¤্রাট, পলিটিকেল একশান ডাইরেক্টর মহিন উদ্দিন দুলাল, কালচারাল ডাইরেক্টর মাহাবুব আলম সাগর, এডুকেশন ডাইরেক্টর মোঃ মাহাবুব আলম, ডাইরেক্টর এট লার্জ কাজী মিয়া ও আসম আবেদীন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. এমডি জহিরুল আলম, মোহাম্মদ এম ইসলাম, মোহন জব্বার, সৈয়দ আলম, শেখ জামাল, মোহাম্মদ মোশাররফ হুসেন, সাগর চক্রবর্তী, শফিকুল হাই ও গাজী মোহাম্মদ আলী; প্রেসিডেন্ট ইমের্টাস মো: আলী হোসেন, ড. রাশেদ মালিক, মেম্বার উত্তম কে দে, মোঃ ইলিয়াস হাসান, এমডি তপু আহমেদ, মোহাম্মদ শাহজাহান ও অভিশেক শ্যাম।

ট্রাস্টি : জর্জিয়া ষ্টেট সিনেটর শেখ রহমান ও ষ্টেট সিনেটর নাবিলা ইসলাম, ড. আউয়াল ডি খান, দেদারুল গাজী মোহাম্মদ মাহমুদ।

উইমেন্স কমিটি : ডা. জানাফা আক্তার, শেমী রহমান, মাবিয়া বেগম সালমা। ইয়ুথ কমিটি : জুনাইরাহ ইব্রাত।

অনুষ্ঠানে অ্যাসাল’র প্রেসিডেন্ট মাফ মিসবাহ উদ্দীন বলেন, অ্যাসাল জর্জিয়া চ্যাপ্টারের সদস্যদের কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠাই অ্যাসালকে জর্জিয়াতে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এমনকি শেষ সিনেটরিয়াল রানঅফ নির্বাচনেও সিনেটর ওয়ার্নককে পুনরায় নির্বাচিত করতে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে অ্যাসাল। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভুতদের পাওয়ার হাউস হিসেবে স্বীকৃত অ্যাসাল কমিউনিটিসহ আগামী প্রজন্মের জন্য অসাধারণ কাজ করছে অ্যাসাল। যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ এশীয়দের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষমতায়নসহ কমিউনিটি এবং মূলধারার মধ্যে সেতুবন্ধন রচনায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে অ্যাসাল।

অ্যাসাল’র সেক্রেটারী করিম চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট মাফ মিসবাহ উদ্দিনের ভিশন আছে, তিনি আমাদের হাতিয়ার দিয়েছেন, আমেরিকার রাজনীতির অংশ হতে। অ্যাসাল আমাদের কমিউনিটি এবং মূলধারার রাজনীতির মধ্যে সেতু।

ষ্টেট সিনেটর শেখ রহমান তার বক্তব্যে বলেন, অ্যাসাল দুর্দান্ত, আমি নিউইয়র্ক সিটিতে এর অনেক কনভেনশনে গিয়েছি, তাদের অনুষ্ঠানে কত উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতিবিদ আসেন তা বিস্ময়কর! এটা তাঁদের নয়, তাঁদের পরিশ্রম, তাঁদের স্বেচ্ছাশ্রম, তাদের ভোট, তারা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন জর্জিয়াতে একই কাজ করতে পারেন, নিবন্ধন করুন এবং ভোট দিতে বেরিয়ে আসুন, কোনও শর্টকাট নেই, রাজনীতিবিদদের অবশ্যই আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে। আমি জানি আমরা এটি করতে পারি, আসুন একসাথে এটি করি।

ষ্টেট সিনেটর নাবিলা ইসলাম বলেন, আমি অ্যাসাল এবং তাদের কাজকে ভালোবাসি, আমি গর্বিত যে আমি একজন আজীবন সদস্য। আমি ২০১৯ সালে নিউইয়র্কে অ্যাসাল কনভেনশনে যোগ দিয়েছি। আমাদের দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের রাজনীতিবিদ এবং নেতাদের অংশগ্রহণ দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমি জর্জিয়ার ষ্টেট সিনেট অধিবেশনে ব্যস্ত থাকার কারণে এই বছরের সম্মেলন মিস করেছি। আমি সবসময় অ্যাসাল’র অংশ থাকব এবং এটিকে আরও ভালো করতে সাহায্য করব।

জর্জিয়া রাজ্যের প্রতিনিধি গাবে ওকোয়ে বলেন, আমি ২০১৭ সালে অ্যাসাল এ যোগ দিয়েছিলাম যখন আমি গুইনেট কাউন্টি ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ছিলাম। গত নির্বাচনে আমাকে সমর্থন করেছিলো অ্যাসাল। আমি অ্যাসাল এর কাছে কৃতজ্ঞ। আমি সর্বদা অ্যাসাল’র আন্দোলনের অংশ থাকব।

ডেমোক্রেটিক পার্টির গুইনেট কাউন্টির চেয়ারম্যান ব্রেদা লোপেজ রোমেরো বলেন, সংখ্যালঘু হিসেবে এবং অভিবাসী হিসেবে আমাদের লড়াই এই কাউন্টিতে অব্যাহত রয়েছে, সেই কারণে অ্যাসাল গুরুত্বপূর্ণ, আমরা এর অংশ। আমরা আমাদের সম্প্রদায় এবং আমাদের রাজ্যে পরিবর্তন আনতে একসাথে কাজ করব।

নবনির্বাচিত সভাপতি আবু লিয়াকত হোসেন অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি নিউইয়র্কে গিয়েছিলাম অ্যাসাল’র সম্মেলনে। অ্যাসাল’র এর ক্ষমতা এবং অবস্থান দেখে খুব মুগ্ধ হয়েছিলাম। রাজনীতিবিদরা তাদের সম্মান করেন এবং তাদের কথা শোনেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি অ্যাসাল’র দৃষ্টিভঙ্গি এবং নির্দেশনা নিয়ে আমরা জর্জিয়াতে একই কাজ করতে পারি। কমিউনিটির সহায়তায় আমরা এই শক্তিশালী কমিটির মাধ্যমে ভবিষ্যতে আমাদের আরও প্রার্থীদের নির্বাচনে জয়ী করতে পারবো।

ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ড. আউয়াল দাদ খান বলেন, এটি দুর্দান্ত, আমাদের সম্প্রদায়ের অনেক নেতা এখানে আছেন, আমরা যদি আমাদের নিজস্ব রাজনীতি ছেড়ে অ্যাসাল এ অংশগ্রহণ করি তবে আমরা রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায়িত হতে পারি। আমরা একসাথে অনেক কিছু করতে পারি।-সুত্র ইউএসএনিউজ

শেয়ার করুন