হিজাব আইন সংস্কারের ইঙ্গিত দিয়েছে ইরান সরকার। টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহত বিক্ষোভের জেরে অবশেষে এ খবর উড়ে এলো। গতকাল শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ জাফর মনতাজরি বলেছেন, ইরানে নারীদের বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরিধান সংক্রান্ত আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে সংসদ ও বিচার বিভাগ কাজ করছে। তবে বিদ্যমান আইনে কী পরিবর্তন আনা হচ্ছে, সে ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত দেননি তিনি।
এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামী বিপ্লবের চার বছর পরে ১৯৮৩ সালে ইরানে হিজাব সংক্রান্ত আইন চালু করা হয়। তখন থেকেই প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নারীকে মাথা ঢেকে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। দীর্ঘদিন এ আইন মেনে চললেও সম্প্রতি মাহসা আমিনি নামে এক কুর্দি তরুণীর হিজাব আইনে গ্রেপ্তারের পরে মৃত্যুর ঘটনায় ইরানজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। যা এখনও চলমান।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩০০-এর বেশি নাগরিক নিহত হয়েছে বলে প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছেন ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ডের এক শীর্ষ জেনারেল। এ ছাড়া শুধু গত সপ্তাহে শিশুসহ কমপক্ষে ১৪ হাজার মানুষ বিক্ষোভের জেরে গ্রেপ্তার হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি গতকাল এক টেলিভিশনে বলেছেন, ইরানের প্রজাতন্ত্র ও ইসলামিক ভিত্তি সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। তবে সংবিধান বাস্তবায়নের পদ্ধতি রয়েছে। যা নমনীয় হতে পারে।