নিউইয়র্ক     বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবশেষে ন্যাটোর সদস্য হতে যাচ্ছে সুইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৩ | ০৭:২১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৩ | ০৭:২১ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
অবশেষে ন্যাটোর সদস্য হতে যাচ্ছে সুইডেন

ন্যাটো প্রধানের সঙ্গে তুরস্ক ও সুইডেনের নেতা- ফাইল ফটো/রয়টার্স

তুরস্ক ও হাঙ্গেরির ছাড়পত্র পেলেই সুইডেনের ন্যাটোর সদস্য হবার পথে শেষ বাধা দূর হবে। তুরস্ক সোমবার সেই সিদ্ধান্ত অনুোমদনের লক্ষ্যে প্রস্তাব পেশ করার পর হাঙ্গেরিও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার জের ধরে ইউরোপে নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা আবার নতুন মাত্রা পেয়েছে। ফিনল্যান্ড ও সুইডেন নিজস্ব নিরপেক্ষতার নীতি বিসর্জন দিয়ে সামরিক জোট ন্যাটোয় জোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা না হলেও সুইডেনকে স্বাগত জানানোর প্রশ্নে তুরস্কের আপত্তি এতকাল ন্যাটোর জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে ছিল।

গত বছরের মে মাসে দুই দেশই আবেদন পেশ করার পর ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ৩১তম সদস্য হিসেবে ফিনল্যান্ড ন্যাটোয় যোগ দিয়েছে। আর সুইডেনের সঙ্গে বিবাদ মিটিয়ে ফেলেছে তুরস্ক। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সুইডেনের আবেদন সম্পর্কে আপত্তি তুলে নিয়ে সংসদে সেই সিদ্ধান্তের অনুমোদন চেয়েছেন। তবে সংসদে অনুমোদের দিনক্ষণ নিয়ে তুরস্ক সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। ফলে সে বিষয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে।

সুইডেনে আশ্রয় নেওয়া ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’গুলোর সদস্যদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে আসছিল তুরস্ক। বিশেষ করে তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত কুর্দি পিকেকে সংগঠনের সদস্যদের দমন করার উপর জোর দিয়ে আসছিল দেশটি। হাঙ্গেরির সরকারও নানা অজুহাত দেখিয়ে সুইডেনের জোগদানের সিদ্ধান্ত সংসদের অনুমোদন করাতে বিলম্ব ঘটিয়েছে। তুরস্কের ছাড়পত্রের সিদ্ধান্তের ফলে সে দেশেও দ্রুত সেই প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ তুরস্কের সংসদে দ্রুত ভোটগ্রহণের পর সুইডেনকে দ্রুত স্বাগত জানানোর আশা প্রকাশ করেন। তার আশা, আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকেই আনুষ্ঠানিকভাবে সেটা সম্ভব হবে। মার্কিন প্রশাসনও তুরস্কের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে দ্রুত অনুমোদনের আশা প্রকাশ করেছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন তুরস্ককে ৩০টি নতুন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহের ইঙ্গিত দিয়েছে। এছাড়া সামরিক সরঞ্জাম আধুনিকীকরনের ক্ষেত্রেও ওয়াশিংটন তুরস্ককে সাহায্য করতে পারে। সূত্র: ডয়চে ভেলে

শেয়ার করুন