জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেছেন, ইউরোপে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় জার্মানিকে প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশটির নাগরিকদের যে কোনো ধরনের বাধ্যতামূলক সামরিক চাকরিতে ফিরে আসারও প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৫ জুন) প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেন, জার্মানির সশস্ত্র বাহিনী বুন্দেসভেরকে এ দশকের শেষ নাগাদ অপারেশনাল প্রস্তুতির জন্যও শক্তিশালী করা দরকার৷রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর ইউরোপের সার্বিক নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
পিস্টোরিয়াস কী বলেছিলেন?
জার্মানির পার্লামেন্ট বুন্ডেসটাগ-এ এক প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ”আমাদের অবশ্যই ২০২৯ সালের মধ্যে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে”।
বরিস পিস্টোরিয়াস বলেন, ”সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি থেকে বিরত রাখতে আমাদের অবশ্যই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷” ঠিক সে কারণেই অর্থ বরাদ্দ, সামরিক উপকরণ ক্রয় ও নতুন সেনা নিয়োগ দেয়ার কথা বলেন তিনি৷ তিনি আরও জানান, ”জরুরি অবস্থায় আমাদের তরুণ শক্তিশালী নারী ও পুরুষদের প্রয়োজন, যারা এই দেশকে রক্ষা করতে পারবে৷” সম্ভাব্য করণীয় সম্পর্কে যাচাই বাছাই করার জন্য তার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনাও দিয়েছেন বরিস পিস্টোরিয়াস।
জার্মানি ২০১১ সালে বাধ্যতামূলক সামরিক পরিষেবা স্থগিত করে৷ মার্চ মাসে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফোরসার একটি জরিপ অনুসারে, প্রায় অর্ধেক জার্মান নাগরিক এটি পুনরায় চালু করার পক্ষে।
ওলাফ শলৎস এর ২০ টি ইউরোফাইটার অর্ডার ও অস্ত্র উৎপাদনে সহযোগিতার আহ্বান
বুধবার (৫জুন) জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস জানিয়েছেন, তার সরকার প্রতিরক্ষা শিল্পকে সমর্থন করবে৷ ইউরোপের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারীদের আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বার্লিনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি অতিথিদের উদ্দেশে বলেন, ”আজ আমরা আগের চেয়ে আরও পরিষ্কারভাবে দেখতে পাচ্ছি যে, ইউরোপীয় ও জার্মান প্রতিরক্ষা শিল্প থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ৷ যেটি সব ধরনের অস্ত্র ও প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ উৎপাদন করতে পারবে” ।
শলৎস বলেন, ”আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা জার্মানিকে তার নিরাপত্তা নীতি নিয়ে নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি করেছে৷” অনুষ্ঠানে শলৎস জার্মানির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে এয়ারবাসের কাছ থেকে আরও ২০টি ইউরোফাইটার জেট কেনার কথা জানান।
