নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৯৩ শতাংশ সম্পদ হারালেন চীনা ধনকুবের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৩ | ১০:৫৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৩ | ১০:৫৮ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
৯৩ শতাংশ সম্পদ হারালেন চীনা ধনকুবের

কত কয়েক বছর বেশ ভালোই কেটেছে চীনের ধনকুবেরদের। বিশেষ করে যারা আবাসন ব্যবসায়ী তাদের সম্পদের পরিমাণ ফুলে-ফেঁপে ওঠেছে। তবে সবার ক্ষেত্রে বিষয়টি এক হয়নি। চীনের অন্যতম বড় আবাসন ব্যবসায়ী হুই কা ইয়ানের সম্পদ শুধুই কমেছে।

মার্কিন সংবাদমা্ধ্যম ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এভারগ্র্যান্ড রিয়েল স্টেট কোম্পানির চেয়ারম্যান হুই কা ইয়ানের সম্পদ কমেছে ৯৩ শতাংশ। ২০১৭ সালে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪২ বিলিয়ন ডলার। সেটি কমে এখন ৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এক সময় এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি ছিলেন তিনি।

এভারগ্র্যান্ড চীনের সবচেয়ে ঋণগ্রস্থ আবাসন কোম্পানি। বর্তমানে কোম্পানিটির ওপর রয়েছে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের ঋণের বোঝা। ২০২১ সাল থেকে চীনের আবাসন খাতে যে সমস্যা চলছে সেটির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এভারগ্র্যান্ড।

৯৩ শতাংশ সম্পদ হারানো হুই কা ইয়ান তার কোম্পানিকে বাঁচানোর জন্য নিজের ব্যক্তিগত অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। অর্থ যোগাতে বিক্রি করেছেন নিজের বাড়ি ও ব্যক্তিগত বিমান। তবে তা সত্ত্বেও এভারগ্র্যান্ডকে খেলাপি হওয়া থেকে আটকাতে পারেননি তিনি। গত বছর এটি ‘প্রাথমিক ঋণ পুনর্গঠনের পরিকল্পনা’ দিতে ব্যর্থ হয়। এতে কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ আরও শঙ্কায় পড়ে যায়।

এভারগ্র্যান্ড কোম্পানিটির পরিধি বেশ বড়। এখানে কাজ করেন প্রায় ২ লাখ মানুষ। ২০২০ সালে পণ্য বিক্রি করে ১২০ বিলিয়ন ডলার আয় করে তারা। এছাড়া ২৮০টি শহরে ১ হাজার ৩০০ সাইট রয়েছে কোম্পানিটির।

বিশ্লেষকদের শঙ্কা, এভারগ্র্যান্ড যদি দেউলিয়া হয়ে যায় তাহলে এর প্রভাব চীনের পুরো আবাসন খাতের ওপর পড়বে। ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বাড়ির মালিক, ক্ষতিগ্রস্থ হবে আর্থিক ব্যবস্থা। চীনের মোট জিডিপির প্রায় ৩০ শতাংশই আবাসন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

এদিকে চীনের হুই কা ইয়ানই একমাত্র অভাগা ধনকুবের না। টেসলা, স্পেসএক্স এবং টুইটারের সিইও ইলন মাস্ক বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ২০০ বিলিয়ন পরিমাণ সম্পদ হারিয়েছেন বলে গত মাসে এক প্রতিবেদনে জানায় ব্লুমবার্গ। ইলন মাস্কের সম্পদ টেসলার সঙ্গে যুক্ত। ২০২২ সালে টেসলার শেয়ারের মূল্য ৬০ শতাংশ কমে গেলে কমে যায় মাস্কের সম্পদের পরিমাণও। সূত্র: সিএনএন

শেয়ার করুন