বছরের পর বছর কিউবা থেকে সামরিক ও গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছে চীন। দ্বীপ দেশটি থেকে বিশ্বব্যাপী তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে বেইজিং। মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা ও অন্য দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে এই খবর প্রকাশ করেছে সিএনএন। ফ্লোরিডা থেকে প্রায় ১০০ মাইল দূরের দ্বীপে একটি ইলেকট্রনিক স্থাপনার জন্য কিউবার সঙ্গে একটি গোপন চুক্তিতে পৌঁছেছে চীন।
গত ৮ জুন ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে সন্দেহ প্রকাশ করে মার্কিন ও কিউবান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু জো বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, কমপক্ষে ২০১৯ সাল থেকে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য কিউবাকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে চীন। প্রতিবেদনে নিশ্চিত করে বলা হয়েছিল, কিউবা চীনকে নতুন গুপ্তচরবৃত্তির স্থাপনার অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে। নীতিগত এই চুক্তির কথা বলা হলেও ওই ধরনের কোনো স্থাপনা তৈরি হয়েছে বলে এখনো বিশ্বাস করা হয় না।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনটিকে ‘সঠিক নয়’ বলে অভিহিত করেন। তবে বলেন, এটি একটি চলমান সমস্যা। নতুন কোনো ঘটনা নয়। গত ফেব্রুয়ারিতে গুপ্তচর বেলুন গুলি করে নামানো এবং সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন উপস্থিতির বিরুদ্ধে চীনা বিমান ও নৌ বাহিনীর বেশ কয়েকটি আক্রমণাত্মক কৌশলের পর কিউবায় চীনা গোয়েন্দা তৎপরতা সম্প্রসারণের বিষয়টি সামনে এসেছে।
সাম্প্রতিক ঘটনার কারণে দুই দেশের সম্পর্ক জটিল আকার ধারণ করেছে। দৃশ্যত তা সহজ করা জন্য যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করছে। চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য গত মাসে সিআইএ পরিচালক বিল বার্নসকে বেইজিং পাঠানো হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও আগামী সপ্তাহে চীন সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু গত সপ্তাহে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন চীনের প্রতিরক্ষা প্রধান। তারা চীনা জলসীমা ও আকাশসীমার কাছাকাছি পদক্ষেপ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দেয়।