নিউইয়র্ক     সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৪ বছরেই স্পেসএক্সে চাকরি, কে এই কাইরান কাজী?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৩ | ০৩:৪১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১২ জুন ২০২৩ | ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
১৪ বছরেই স্পেসএক্সে চাকরি, কে এই কাইরান কাজী?

মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মহাকাশবিষয়ক প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-এ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কিশোর কাইরান কাজী। স্পেসএক্স-এর ‘প্রযুক্তিগতভাবে চ্যালেঞ্জিং কিন্তু মজার’ সাক্ষাৎকার পর্ব সফলভাবেই উৎরে গিয়েছেন কাইরান।
সান্তা ক্লারা ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পরপরই তিনি ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ শুরু করবেন। স্পেসএক্স-এর স্টারলিংক টিমে যোগদানের ব্যাপারে উচ্ছ্বসিত কাইরান বৃহস্পতিবার লিংকডইনে লিখেছেন, তিনি ‘বিশ্বের সবচেয়ে সেরা কোম্পানির’ স্টারলিংক ইঞ্জিনিয়ারিং টিমে যোগ দিতে যাচ্ছেন।

কাইরান আরও লিখেছেন, স্পেসএক্স সেই সব বিরল কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি যারা কিনা তার বয়সের মতো পুরনো মানদন্ড দিয়ে তার সক্ষমতা ও পরিপক্কতা বিবেচনা করেনি। উল্লেখ্য যে, স্টারলিংক স্পেসএক্স-এর স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান। খবরে বলা হয়েছে, ১১ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের সান্তা ক্লারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শুরু করে কাইরান। ২০২৩ সালে গ্র্যাজুয়েট হয়ে একেবারে চাকরিতে ঢুকবেন কাইরান।

কাইরানের আশা, মানুষের মঙ্গল অভিযানে নিজের বিদ্যা-বুদ্ধি খাটিয়ে বিশেষ ছাপ রাখতে পারবেন তিনি। কাইরানের বাবা-মা জানিয়েছেন, ছোট থেকেই বিশ্বের নানা বিষয়ে কৌতূহল কাইরানের। দু’বছর বয়সের মধ্যেই পুরো বাক্যে কথা বলতে পারত সে। সে যখন থার্ড গ্রেডে পড়ে তখন সে বাড়িতে জানায় যে স্কুলের পাঠ্যক্রম তার খুব সহজ লাগছে। তারপরই তাকে কমিউনিটি কলেজে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন তার বাবা-মা।

অবসর সময়ে ঐতিহাসিক ঘটনার ছায়ায় তৈরি কম্পিউটার গেম খেলতে ভালবাসেন কাইরান। বই পড়ার ক্ষেত্রে কল্পবিজ্ঞানের পোকা। তার প্রিয় লেখক ফিলিপ কে ডিক। সাংবাদিকদের মধ্যে তার প্রিয় অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ মাইকেল লুইস। কাইরান ইন্টেন ল্যাবসা’তে একজন এআই রিসার্চ কো-অপ ফেলো হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেন এবং মাত্র ১১ বছর বয়সে কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হন।

কাইরান কাজীর লিংকডইন প্রোফাইল অনুসারে, গত বছর ব্ল্যাকবার্ড ডট এআই নামের এক সাইবার ইন্টেলিজেন্স ফার্মে চার মাস মেশিন লার্নিংয়ের ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করেন। সেখানে তিনি সামাজিক মাধ্যমের আধেয় ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা শনাক্তের পরিসংখ্যানগত পদ্ধতি তৈরি করেন। সূত্র : ঢাকা মেইল

সাথী/পরিচয়

শেয়ার করুন