নিউইয়র্ক     রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাধীন খালিস্তানের দাবিতে কানাডায় গণভোট, ক্ষুব্ধ ভারত

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০১:০৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০১:০৮ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
স্বাধীন খালিস্তানের দাবিতে কানাডায় গণভোট, ক্ষুব্ধ ভারত

কানাডায় খালিস্তানপন্থীদের সমাবেশ। ছবি : ইন্ডিয়া টুডে, এপি

ভারতের আপত্তি উপেক্ষা করে খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে কানাডায় গণভোটের আয়োজন করে কট্টরপন্থী গোষ্ঠী ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে)। মোদি সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক স্তরে আপত্তি জানানো হলেও, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে চায়নি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

ভারতে নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থী সংগঠন এসএফজে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারের গুরু নানক সিংহ গুরুদ্বারে গত সপ্তাহে ওই খলিস্তানপন্থী গণভোটের আয়োজন করেছিল। কানাডায় বসবাসকারী প্রায় সাত হাজার শিখ তাতে অংশ নিয়েছিলেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ওই গণভোটে হাজির ছিলেন এসএফজে-এর প্রতিষ্ঠাতা গুরপতবন্ত সিংহ পান্নুন।

গত বছরের নভেম্বরে কানাডার অন্টারিওতে জমায়েত এবং গণভোটের ডাক দিয়েছিল কট্টরপন্থী গোষ্ঠী ‘শিখস ফর জাস্টিস’। সেই উদ্যোগকে সরাসরি ‘জঙ্গি কার্যকলাপ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল নয়াদিল্লি। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো কূটনৈতিক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সে দেশের মাটি ব্যবহার করে ভারত বিভাজনের চেষ্টা শুরু করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। কিন্তু তারপরও আয়োজিত হয়েছিল গণভোট।

২০১৯ সালের জুলাই মাসে এসএফজে-কে ‘আন’ল’ফুল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট’ (ইউএপিএ) আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল ভারত। সংগঠনের প্রধান গুরুপতবন্তের বিরুদ্ধে ভারতের ‘রেড কর্নার নোটিস’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে আবেদনও জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদন ইন্টারপোল খারিজ করে দেয়। এর পরেই ওই বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ গোষ্ঠী কানাডায় গণভোটের আয়োজনের জন্য নতুন উদ্যমে তৎপরতা শুরু করে।

২০২০ সালে লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারেও স্বাধীন ও সার্বভৌম খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে বড় জমায়েত করেছিল এসএফজে। নয়াদিল্লি বারবার লিখিত এবং মৌখিক অনুরোধ করা সত্ত্বেও ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র সরকার নিষিদ্ধ করেনি ভারত-বিরোধী ওই সমাবেশকে।

২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মাসে কানাডার ব্রাম্পটনেও খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে সমাবেশ করে ওই সংগঠন। এর পিছনে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মদদ ছিল বলে অভিযোগ করেছে নয়াদিল্লি।

ওই সময় একটি ভিডিও বার্তায় এসএফজে প্রধান গুরুপতবন্ত দাবি করেছিলেন, পঞ্জাবে বিধানসভা ভোটের আগে আম আদমি পার্টি (আপ)-এর অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও ভগবন্ত মান তাদের দলের জন্য ৬০ লাখ ডলারের বেশি অনুদান চেয়েছিলেন খালিস্তানপন্থী শিখদের কাছে। সূত্র : এবিপি

শেয়ার করুন