নিউইয়র্ক     বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের পাইলট প্রত্যাবাসন প্রকল্প’  বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চাইলেন রাষ্ট্রদূত মুহিত

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৩ | ১০:৪৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২০ মে ২০২৩ | ১০:৪৭ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
রোহিঙ্গাদের পাইলট প্রত্যাবাসন প্রকল্প’  বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চাইলেন রাষ্ট্রদূত মুহিত

নিউইয়র্ক : “আমরা জাতিসংঘ, আসিয়ান এবং আঞ্চলিক দেশগুলিকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের নিমিত্ত গৃহীত পাইলট প্রকল্পকে সমর্থন করতে এবং এ প্রকল্পের আওতায় প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারের সমাজে পুনরায় একীভুত হতে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানাই”- গত ১৯ মে নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গাদের ওপর অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বক্তব্য প্রদানকালে এমন মন্তব্য করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ  আবদুল মুহিত। নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে এ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রদূত মুহিত নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করেন যে, উভয় পক্ষ রোহিঙ্গাদেরকে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের নিমিত্ত একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এই প্রকল্পের অধীনে একদল রোহিঙ্গা প্রথম ব্যাচে মিয়ানমারে ফিরে যাবে এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদের  প্রত্যাবাসন করা হবে। তিনি আরো জানান যে, বিগত মে মাসের ৫ তারিখে, ২০ জন রোহিঙ্গার একটি দল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গমণ করেন এবং সেখানে তাদের প্রত্যাবর্তনের নিমিত্ত মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।

পাইলট প্রকল্পটিকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, এর আওতায় রোহিঙ্গাদেরকে পারিবারিক ইউনিটে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার পর আবার যেন তারা সেখানে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের নিপীড়নের সম্মুখীন না হয় সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সজাগ থাকার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত মুহিত। তিনি আরো বলেন, “রাখাইনে কনফিডেন্স বিল্ডিং পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মানবিক ও উন্নয়ন অংশীদারদের উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য এবং এ লক্ষ্যে আমরা আঞ্চলিক সদস্য দেশগুলিকেও রোহিঙ্গাদেরকে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে সহায়তা করার আহ্বান জানাই”।

এ  বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের সকল সদস্য এবং আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ অংশগ্রহণ করে। সভায় উপস্থিত সদস্যরা, অন্যান্যদের মধ্যে, ঘূর্ণিঝড় মোখা পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারের বর্তমান মানবিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। তারা মিয়ানমারের বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আসিয়ানের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং রাখাইনের অবস্থার উন্নতির জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

সুমি/পরিচয়

শেয়ার করুন