নিউইয়র্ক     শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ার দুর্বলতা সুস্পষ্ট, বললেন জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৩ | ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩ | ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
রাশিয়ার দুর্বলতা সুস্পষ্ট, বললেন জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হয়ে লড়াই করে আসা বেসরকারি ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার দেশের ভেতরে আকস্মিক বিদ্রোহের ঘোষণা দেওয়ায় কিছুটা উল্লাসই প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শনিবার ওয়াগনারের বিদ্রোহের ঘোষণার পর দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়ার দুর্বলতা সুস্পষ্ট হয়েছে।’ জেলেনস্কি বলেছেন, মস্কো ইউক্রেনে তার সৈন্য ও ভাড়াটে সৈন্যদের যত দীর্ঘসময়ের জন্য রাখবে, দেশের ভেতরে বিশৃঙ্খলা তত বেশি হবে।

ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন মস্কোর সামরিক নেতৃত্বকে অপসারণে বিদ্রোহের ঘোষণা দেওয়ার পর শনিবার বার্তা আদানপ্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘রাশিয়ার দুর্বলতা সুস্পষ্ট। পুরোমাত্রার দুর্বলতা।’ ‘আর রাশিয়া যত দীর্ঘসময় আমাদের মাটিতে তার সৈন্য ও ভাড়াটে সৈন্যদের রাখবে, নিজ দেশে বিশৃঙ্খলা, যন্ত্রণা এবং সমস্যা তত বেশি বাড়বে।’

রোস্তভ-অন-দনের পর রাশিয়ার দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের দ্বিতীয় আরেকটি শহরের সামরিক সব স্থাপনা ওয়াগনার যোদ্ধারা দখলে নিয়েছেন। শনিবার রোস্তভ-অন-দন ও রাজধানী মস্কোর মধ্যবর্তী ভোরোনেজ শহরের সব সামরিক স্থাপনা ওয়াগনার দখলে নিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে নিশ্চিত করেছে বিবিসি।

তবে ভোরোনেজ শহর কর্তৃপক্ষ ওয়াগনারের সৈন্যদের দখলের বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। ভোরোনেজ অঞ্চলের গভর্নর আলেকজান্ডার গুসেভ ওই অঞ্চলে সাঁজোয়া যানের বহরের চলাচলের ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে স্থানীয়দের সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ভোরোনেজ অঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী ও যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু করেছে।

ওয়াগনারের বিদ্রোহের ঘোষণা দেওয়ায় দেশজুড়ে সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রাশিয়া। ইতোমধ্যে মস্কো, ভোরোনেজ ও সেন্ট পিটার্সবার্গে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। দেশটির বিভিন্ন শহরের রাস্তায় চলাচলকারী লোকজনের নথিপত্র যাচাই-বাছাই, জনশৃঙ্খলা জোরদার, টেলিফোন কথোপকথনে নজরদারি এবং যোগাযোগ সীমিত করে ফেলা হয়েছে।

শেয়ার করুন