রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার দেশটির দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেনা সদরদপ্তর রোস্তভ এবং ভরোনেজ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে। এমনকি এখন তারা লিপেটস্ক শহরে ঢুকে পড়েছে, যা রাজধানী মস্কো থেকে মাত্র ৬ ঘণ্টা দূরত্বে অবস্থিত। রুশ সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের হুমকি দিয়ে ভাগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন জানিয়েছেন, তার বাহিনীর ২৫ হাজার যোদ্ধা ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত’ আছেন।
তিনি বলেন, আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি এবং এর শেষ দেখে ছাড়ব। আমাদের এ চলার পথে যা কিছু বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তার সবকিছুকে ধ্বংস করে দেব। এদিকে ভাগনারের দখলে থাকা ভরোনেজ অঞ্চলের একটি তেলের ডিপোতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। সেখানের আঞ্চলিক গর্ভনর অ্যালেক্সান্ডার গুসেভ জানান, আগুন নিভাতে শতাধিক কর্মী কাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, তেলের ডিপোটি থেকে ব্যাপক কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে।
অন্যদিকে শনিবার এক টেলিভিশন ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার ভবিষ্যৎ এখন হুমকির মুখে। ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইভজেনি প্রিগোজিনের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, কারও কারও উচ্চাকাঙ্ক্ষা ‘তীব্র রাষ্ট্রদ্রোহের’ দিকে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা রাশিয়াকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে, তাদের শাস্তি পেতে হবে। তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। রাজধানী মস্কো এবং অন্যান্য কয়েকটি অঞ্চলে এখন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলছে। আমরা আমাদের উভয় জনগণকে রক্ষা করব। রাশিয়াকে সমর্থন করা ওয়াগনার গ্রুপ হঠাৎ করেই পাল্টে গেছে। রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছে তারা। ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিপক্ষে লড়াইয়ে রুশ সেনাদের সমর্থনের বদলে এবার রুশ বাহিনীর ওপরই হামলা করছে তারা।
ইতোমধ্যে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের একটি সামরিক সদরদপ্তরে ওয়াগনার প্রধান ইভজেনি প্রিগোজিনকে দেখা গেছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় রোস্তভ-অন-ডন এলাকার সামরিক দপ্তরে প্রবেশ করেছেন তিনি। একটি ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ তাদের সঙ্গে দেখা করতে না এলে তার সৈন্যরা শহর অবরোধ করবে এবং মস্কোর দিকে অগ্রসর হবে। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল