নিউইয়র্ক     বৃহস্পতিবার, ১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে মানুষ খাওয়া হাঙরটিকে মমি করা হবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৩ | ০৩:২৯ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৫ জুন ২০২৩ | ০৩:২৯ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
যে কারণে মানুষ খাওয়া হাঙরটিকে মমি করা হবে

সম্প্রতি রুশ যুবককে খেয়ে ফেলা হাঙরকে মমি করে রাখা হবে মিসরে। একটি জাদুঘরে রাখা হবে এই প্রাণীটিকে। বুধবার এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

খবরে বলা হয়েছে, মিসরে ঘুরতে গিয়েছিলেন যুবক। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা এবং প্রেমিকা। রেড সি-তে জলকেলির সময় হাঙরের আক্রমণের মুখে পড়েন তিনি। প্রেমিকা কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচলেও হাঙরের কবল থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেননি যুবক। বাবা এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্য পর্যটকদের সামনেই তাকে ছিঁড়ে খায় হাঙরটি। পরে সেই হাঙরের পেট থেকে যুবকের দেহের অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। মেরে ফেলা হয় ঘাতক হাঙরটিকেও। মৃত যুবকের নাম ভ্লাদিমির পোপোভ (২৩)। রাশিয়া থেকে মিসরে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। তাকে হাঙরের আক্রমণের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায় কীভাবে বাঁচার প্রাণপণ চেষ্টা করছেন যুবক। সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন। বাবার উদ্দেশেও শোনা গিয়েছিল পুত্রের আর্তনাদ, ‘বাবা, আমাকে বাঁচাও’।

জানা গেছে, হাঙরটিকে ইতোমধ্যে বিশেষভাবে সংরক্ষণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে মিসরের মেরিন সায়েন্স ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ওই ইনস্টিটিউটের একটি জাদুঘরে এটিকে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হবে। হাঙরের আক্রমণে বিষয়ে পপোভের বাবা ইউরি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা অবকাশের জন্য সৈকতে গিয়েছিলাম। মাত্র ২০ সেকেন্ডর মধ্যেই ঘটনাটি ঘটে গেছে। ছেলেকে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায় হাঙরটি। হাঙরটি কেন হঠাৎ আক্রমণ করল, সেটাও খতিয়ে দেখবেন বিশেষজ্ঞরা। আগের কোনও দুর্ঘটনায় প্রাণীটি আহত ছিল কিনা, পরীক্ষা করে দেখা হবে সেটিও। ঘটনাটিকে অস্বাভাবিক হিসেবে বর্ণনা করেন ইউরি। কারণ তারা জানতে পেরেছিলেন-এই সৈকতে কখনোই এ ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। ইউরি জানান, উদ্ধার করা ছেলের শরীরের টুকরোগুলোকে দাহ করবেন তিনি। পরে সেই ছাই নিয়ে যাবেন রাশিয়ায়।

এসএ/এমএএস/এমইউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন