নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোদীকে নিয়ে কথা বলায় এবার কেজরিওয়ালকে জরিমানা

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ০২:১০ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ০২:১১ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
মোদীকে নিয়ে কথা বলায় এবার কেজরিওয়ালকে জরিমানা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট দেখানোর প্রয়োজন নেই। গত ৩১ মার্চশুক্রবার এমনটাই জানিয়ে দিলেন গুজরাট হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নরেন্দ্র মোদির সার্টিফিকেট দেখতে চাওয়ায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।কেজরিওয়াল সিআইসির (সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশন) কাছে মোদির বিএ এবং এমএ পাশের প্রশংসাপত্র দেখতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সিআইসি প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও), দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়কে সেই প্রশংসাপত্র দেখানোর নির্দেশ দেয়। তার বিরুদ্ধেই আদালতে গিয়েছিল গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়।

গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণবের একক বেঞ্চ শুক্রবার সিআইসির নির্দেশকে খারিজ করে দেয়। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির প্রশংসাপত্রের বিস্তারিত তথ্য চাওয়ার জন্য কেজরিওয়ালকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। ৪ সপ্তাহের মধ্যে সেই টাকা জমা করতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। আদালতের রায়ের কথা শুনে কেজরিওয়াল বলেন, ‘দেশের মানুষের কি জানার অধিকার নেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী কতটা শিক্ষিত? ওরা আদালতে ডিগ্রি দেখাতে এত আপত্তি করছেন কেন? যে ব্যক্তি ডিগ্রি দেখতে চাইলেন, তাকেই জরিমানা করা হলো? কী হচ্ছে এসব! একজন অশিক্ষিত বা স্বল্পশিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য বিপজ্জনক।’

২০১৬ সালে তথ্য জানার অধিকার আইনে দায়ের হওয়া একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইসি পিএমও, গুজরাট এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মোদির স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি সম্পর্কে তথ্য তলব করে। সিআইসির নির্দেশের বিরোধিতা করে গুজরাট হাইকোর্টে যায় গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়।প্রসঙ্গত, নির্বাচনী হলফনামায় মোদির দাবি অনুযায়ী তিনি ১৯৭৮ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং ১৯৮৩ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেছেন।খবর এনডিটিভির।

শেয়ার করুন