কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ফলে ধুঁকছে বৈশ্বিক অর্থনীতি৷ এর ফলে মূল্যস্ফীতির মতো স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী সংকট জলবায়ু পরিবর্তনের মতো দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জগুলিকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে৷ আগামী দুই বছর জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক ঝুঁকি তৈরি করবে৷ আগামী সপ্তাহে দাভোসে বৈঠকের আগে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের একটি সমীক্ষা।
ফোরামের প্রকাশ করা বিশ্ব ঝুঁকি প্রতিবেদন ২০২৩ অনুসারে, এখনও বৈশ্বিক অর্থনীতির সবচেয়ে বড় দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ জলবায়ু পরিবর্তন৷ তবে স্বল্পমেয়াদী নানা সংকট জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপকে আরো বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে৷ করোনা মহামারি এবং রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের ফলে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় ২০২২ সালে চরম জ্বালানি ও খাদ্য সংকট দেখা দেয়, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি পৌঁছায় চরমে৷
সুইজারল্যান্ডের আল্পসে দাভোস গ্রামে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন৷ এর আগে প্রকাশ করা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘সংঘাত এবং ভূ-অর্থনৈতিক উত্তেজনা একের পর এক পরস্পর সম্পর্কিত বৈশ্বিক ঝুঁকির জন্ম দিয়েছে৷” ‘অর্থনৈতিক সংঘাত বেড়ে চলেছে’ : প্রতিবেদনে আরেকটি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে- ডিগ্লোবালাইজেশন৷ ইউক্রেন আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক দ্বন্দ্ব, এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রেরও নানা ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক মতানৈক্য দেখা দিয়েছে৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হতে যাচ্ছে৷”
সাম্প্রতিক দশকগুলিতে বিশ্বজুড়ে উন্নতির পর দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে আবার মন্থর গতি দেখা দিয়েছে৷ বিষয়েও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। সতর্ক করা হয়েছে, “এর ফলে নতুন অর্থনৈতিক যুগে ধনী ও দরিদ্র দেশের মধ্যে আরো বৈষম্য দেখা দিতে পারে৷ গত কয়েক দশকের মধ্যে মানব উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা এটি৷।”
এসএ/এমএএস/এমউএ/টিএ/পরিচয়
