নিউইয়র্ক     রবিবার, ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মধ্যপ্রাচ্য-আফ্রিকায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যু ৬ বছরে সর্বোচ্চ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৩ | ১১:২৩ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৩ | ১১:২৩ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
মধ্যপ্রাচ্য-আফ্রিকায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যু ৬ বছরে সর্বোচ্চ

২০২২ সালে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার সাগর ও স্থলপথ দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর, যা গত ২০১৭ সালের পর ওই রুটে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুর রেকর্ড। জাতিসংঘের অভিবাসন সংক্রান্ত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য।

আইওএম এর বিশেষ প্রকল্প মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রোজেক্ট (এমএমপি) ২০২২ সালের ১২ মাসে মধ্যপ্রাচ্যে ও উত্তর আফ্রিকার সাগর ও স্থলরুটে ৩ হাজার ৭৮৯ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করেছে বলে মঙ্গলবারের বিবৃতিতে জানিয়েছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংক্রান্ত সংস্থা। মৃত এই অভিবাসন প্রত্যাশীদের উল্লেখযোগ্য অংশই নিখোঁজ রয়েছেন। এর আগে ২০১৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের পথে নিহত হয়েছিলেন ৪ হাজার ২৫৫ জন অভিবাসন প্রত্যাশী। তারপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ২০২২ সালে। আইওএমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে এই রুটে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যু বেড়েছে ১১ শতাংশ।

মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব আফ্রিকার দেশ মিশর, লিবিয়া ও তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ইতালি, গ্রিস ও স্পেনের উদ্দেশে রওনা দেন অভিবাসীরা। এই অভিবাসীদের অধিকাংশকেই আবার মিশর, লিবিয়া ও তিউনিসিয়া পৌঁছানোর জন্য পাড়ি দিতে হয় বিপদসঙ্কুল সাহারা মরুভূমি। স্থলপথে সর্বোচ্চ অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু ঘটেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের রুটগুলোতে। আওএম জানিয়েছে, ইয়েমেনের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।

এছাড়া ২০২২ সালে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যুর হারও বিগত বছরগুলোর তুলনায় বেশি ছিল বলে জানিয়েছে আইওএম। ‘ভূমধ্যসগারে ডুবে যারা মারা গেছেন, তাদের ৮৪ শতাংশই হয় নিখোঁজ হয়েছেন— নয়তো শনাক্তের বাইরে থেকেছন। তদের অনেকের পরিবারের সদস্যরা এখনও স্বজন ফিরে পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে আছেন,’ বলা হয় আইএমও’র বিবৃতিতে। সূত্র : রয়টার্স

এসএ/এমএএস/এমইউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন