নিউইয়র্ক     রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভেঙে পড়তে পারে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৩ | ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৮ মে ২০২৩ | ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ভেঙে পড়তে পারে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবন

দৃষ্টিনন্দন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবন ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অংশফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবন একটি ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ। শতাব্দীপ্রাচীন এই ভবন বহু ইতিহাসের সাক্ষী। কিন্তু সেই ভবন আর কত দিন রক্ষা করা যাবে, তা নিয়ে এমপিদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।

হাউস অব কমন্সে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ভবনের বিভিন্ন জায়গা থেকে পানি চুইয়ে পড়ছে। ফাটল দেখা গেছে অনেক জায়গায়। আগুন লাগলে তা নেভানোর মতো যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই। বড় কোনো বিপর্যয় ঘটলে ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তাই অবিলম্বে ভবনের সংস্কার প্রয়োজন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এমপিদের বক্তব্য, ভবনটির এখন যা অবস্থা, তা সংস্কার করতে অনেক অর্থ ব্যয় হবে। কিন্তু আরও সময় লাগলে খরচ বহুগুণ বেড়ে যাবে, যা করদাতাদের টাকা থেকেই নিতে হবে। তা ছাড়া অপেক্ষা করলে ভবনটি সংস্কারের অযোগ্যও হতে পারে। এখন পর্যন্ত যা কাজ হয়েছে, তা কার্যত ‘ধর তক্তা মার পেরেক’ গোছের বলে জানিয়েছে সংসদীয় কমিটি। তাতেই সপ্তাহে দুই মিলিয়ন পাউন্ড করে খরচ হয়েছে।

ওয়েস্টমিনস্টার রাজপ্রাসাদটিকে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর আগেও এর সংস্কার নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কখনোই সামগ্রিক সংস্কারের ব্যবস্থা হয়নি। আলোচনাও খুব ধীরগতিতে এগিয়েছে। ২০১৮ সালে এমপিরা ভোটাভুটির মাধ্যমে ঠিক করেছিলেন, ২০২০ সালে ভবনটি কিছুদিনের জন্য খালি করে দেওয়া হবে। সে সময় সংস্কারের কাজ করা যাবে। কিন্তু ২০২০ সালে সবাই পার্লামেন্ট ভবন ছেড়ে যেতে চাননি। ফলে সংস্কারও সম্ভব হয়নি। যাঁরা ভবনটি ছেড়ে যেতে চাননি, তাঁরা বারবার বলেছেন, পার্লামেন্ট ঠিকমতো সংস্কার করতে হলে অনেক বছর সময় লেগে যাবে। এত দিন ওই ভবন ছেড়ে অন্যত্র পার্লামেন্ট চালানো সম্ভব নয়।

২০১৬ সাল থেকে পার্লামেন্ট ভবনে অন্তত ৪৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফলে এখন ২৪ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবনটি পাহারা দেন। ১৮৩৪ সালে অগ্নিকাণ্ডেই নষ্ট হয়েছিল পুরোনো ওয়েস্টমিনস্টার প্রাসাদ। এরপর চার্লস ব্যারি নামের এক স্থপতি নতুন ভবনটি তৈরি করেন। নিও গথিক স্থাপত্যের সেই ভবনই এখন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট। সূত্র : প্রথম আলো

শেয়ার করুন