নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রিকস সম্মেলনে গেলেই কি গ্রেফতার হতেন পুতিন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৩ | ০৮:২৮ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৩ | ০৮:২৮ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ব্রিকস সম্মেলনে গেলেই কি গ্রেফতার হতেন পুতিন?

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রিকস অর্থনৈতিক ব্লকের নেতারা এই সপ্তাহে জোহানেসবার্গে মিলিত হচ্ছেন। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ওই সম্মেলনে যাচ্ছেন না। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে কোনো ‘কারণ’ জানানো না-হলেও কূটনীতিক মহলের একাংশ মনে করছেন গ্রেফতারি এড়াতেই রুশ প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত।

অন্য দেশের সব নেতারা ব্যক্তিগতভাবে বৈঠকে যোগ দিতে প্রস্তুত, কিন্তু পুতিন এ সভায় ভিডিও কলের মাধ্যমে যুক্ত থাকবেন। এ বিষয়ে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল আগেই। মঙ্গলবার মস্কোর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা) রাষ্ট্রগোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকা যাবেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং শিশুদের জোর করে স্থানান্তরিত করার অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। গত মার্চ মাসে জারি হয় গ্রেফতারি পরোয়ানাও। প্রাথমিকভাবে শোনা গিয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকা আইসিসি চুক্তিভঙ্গ করবে। পুতিনকে তারা গ্রেফতার করবে না। কিন্তু সে দেশের বিরোধী দল এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ বিষয়ে সরব হয়। তারা দাবি জানায়, পুতিন দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবেশ করলে তাকে গ্রেফতার করতেই হবে।

তারপর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা জানান, তারা আইসিসি-এর সদস্য দেশ। ফলে সে দেশে পা রাখলেই গ্রেফতার করতে হবে পুতিনকে। এরপরে রামাফোসা রুশ প্রেসিডেন্টকে ফোন করে জোহানেসবার্গে না আসার অনুরোধ জানান বলেও দক্ষিণ আফ্রিকার সংবাদমাধ্যমের দাবি। বস্তুত, জুলাই মাসেই রাশিয়া জানিয়েছিল, ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় পুতিন না-ও যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তার স্থান পূরণ করবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। মঙ্গলবার তা নিশ্চিতভাবে জানা গেছে।

আগামী ২২-২৪ আগস্ট থেকে জোহানেসবার্গে ব্রিকসের পঞ্চদশ শীর্ষ সম্মেলনে ভারত-সহ পাঁচ সদস্যরাষ্ট্রের পাশাপাশি যোগ দেবেন প্রায় ৩০টি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোমি মঙ্গলবারই পৌঁছে গিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। এছাড়া সেখানে পৌঁছেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই ব্রিকসের সম্প্রসারণের প্রস্তাব দেওয়া হলেও ভারত তাতে সায় দেয়নি। কূটনীতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চীনে উদ্দেশ্য হলো আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জি-৭-এর সমকক্ষ একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী তৈরি করা, যার রাশ থাকবে চীনের হাতে। অর্থাৎ পুরনো ব্লক রাজনীতির ধাঁচে আমেরিকার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী অক্ষ তৈরি করা। আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়ায় মোকাবিলার জন্য সেই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন রাশিয়াও। সূত্র : টাইম, এবিপি

শেয়ার করুন