নিউইয়র্ক     বুধবার, ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেঁচে আছেন প্রিগোজিন, যা বললেন ভিডিও বার্তায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বেঁচে আছেন প্রিগোজিন, যা বললেন ভিডিও বার্তায়

রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন । ছবি- সংগৃহীত

বিমান দুর্ঘটনায় রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মৃত্যুর বিষয়টি রুশ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিতের পর হঠাৎ প্রকাশ্যে এল একটি ভিডিও। যেখানে ভক্তদের উদ্দেশে প্রিগোজিনকে বলতে শোনা গেছে, যারা আলোচনা করছেন আমি বেঁচে আছি কি নেই—তাদের জন্য। আসলে সবকিছুই ঠিক আছে। সদ্য প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজের বরাতে এমন খবর জানিয়েছে মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক পোস্ট।

ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় প্রিগোজিনের মৃত্যুর খবর কয়েকদিন আগেই নিশ্চিত করেছে রাশিয়া। কিন্তু বুধবার ওয়াগনারের সাথে যুক্ত একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওতে আবার দেখা গেছে প্রিগোজিনকে। এ নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে জল্পনা। সংক্ষিপ্ত ওই ভিডিওতে প্রিগোজিনকে বলতে শোনা যায়, যারা আমি বেঁচে আছি, নাকি মরে গেছি, আমি কী করছি এসব নিয়ে আলোচনা করছেন এটা তাদের জন্য। এটা অগাস্ট মাসের দ্বিতীয়ার্ধ, এই মুহূর্তে এটা উইকেন্ড এবং আমি আফ্রিকায় আছি।

তাতে একেবারেই এটি স্পষ্ট যে, ভিডিওটি গত ২৩ আগস্ট মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাওয়ার পথে প্রিগোজিনকে বহন করা বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার আগে ধারণ করা। ভিডিওতে তিনি যে ‘উইকেন্ড’ কথাটি বলেছেন, সেটা বিবেচনায় নিলে ওই ভিডিওটি অবশ্যই ১৯ অথবা ২০ আগস্ট ধারণ করা। অর্থাৎ এর তিন অথবা চারদিন পর বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিনি নিহত হন।

টেলিগ্রামে ওয়াগনার গ্রুপের চ্যানেল ‘গ্রে জোন’ ভিডিওটি প্রথম প্রকাশ করে। সেখানে ইয়েভজেনি প্রিগোজিন তার সুস্থতা এবং নিজের নিরাপত্তায় ঝুঁকি নিয়ে ছড়ানো নানা গুঞ্জনের জবাব দেন। তিনি বলেছেন, যারা আমাকে মুছে ফেলতে আলোচনা করছেন অথবা আমার ব্যক্তিগত জীবন, আমি কত আয় করি বা যেকোনো কিছু, তাদের জন্য জন্য বলছি, সবকিছু ঠিক আছে।

এদিকে, গত ২৩ আগস্ট বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৬২ বছর বয়সী প্রিগোজিনসহ আরও ৯ আরোহী নিহত হন। গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সেন্ট পিটার্সবার্গে তার বাবার কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। প্রসঙ্গত, প্রায় দুই মাস আগে রাশিয়ার সামরিক কমান্ডারদের বিরুদ্ধে একটি ব্যর্থ বিদ্রোহ করেন ওয়াগনার প্রধান। ওই বিদ্রোহের পর থেকে পুতিন প্রশাসনের সাথে তার দূরত্ব বাড়তে থাকে।

শেয়ার করুন