নিউইয়র্ক     রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশিদের খোঁজেন মমতা, কিন্তু কেন ?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৩ | ০১:৪৯ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৩ | ০১:৪৯ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশিদের খোঁজেন মমতা, কিন্তু কেন ?

বিদেশে গিয়ে সবার প্রথমেই বাংলাদেশিদের খুঁজতেন মমতা ব্যানার্জি। ১৯৯৭-৯৮ সালে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু বিদেশের মাটিতে পা রেখেই সবার প্রথমে তার মনে আসতো বাংলাদেশের কথা, সে সময় বাংলাদেশিদের খোঁজ করেছিলেন মমতা। কারণ একটাই- তাদের কাছে মন খুলে মনের কথা ব্যক্ত করা যায়। কারণ তারই প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলা। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরে ধনধান্য অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রায় ২৬ বছরের পুরনো ঘটনার স্মৃতিচারণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা।

মমতা বলেন ‘আমাদের বাংলা চর্চার সু-ভাষাটা যেন হারিয়ে না যায়। কোনো ব্যক্তি সব ভাষাতে কথা বলতে পারলেও তার মাতৃভাষায় কথা বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। তেমনি আমিও বিদেশে গেলেই প্রথমে খুঁজে বাংলাদেশের কারা আছে। কেন দেখি? কারণ আমি যখন জাতিসংঘের অধিবেশনে আমেরিকায় গিয়েছিলাম…সেটা ১৯৯৭- ৯৮ সালের কথা। তখন যুক্তরাষ্ট্রে বেশি হোটেল ছিল না। তখন দেখেছিলাম নিজেদেরকেই নিজেদের রান্না করে খেতে হতো। তো কখন আমি মিটিং করব, আর কখন রান্না করে খাব। তখন খুঁজতে খুঁজতে বের করলাম বাংলাদেশের কয়েকজনকে। বাংলাদেশ এমনিতেই অতিথি পরায়ণ হয়। তারা আমাকে বললেন ও দিদি কি খাইতাছেন? আমি বললাম কি খামু, কিছুই তো নাই! তখন ওরা বলল আমরা আপনাকে খাবার পাঠামু। এই বলে একটা ক্যানে করে এত খাওয়ার পাঠালেন যে একদিনের খাবারে টানা সাত দিন হয়ে গেল।’

ওই সময়ের আরেকটি ঘটনার কথা আর স্মরণ করে মমতা বলেন ‘এমনিতে আমি একটু গেঁয়ো, ঘরোয়া টাইপের লোক। আমেরিকায় গিয়ে গোসলের সময় বালতি বা মগ কোনটাই পাইনি। শেষ পর্যন্ত কিচেন থেকে একটা সসপ্যান নিয়ে এসে আমি গোসল করেছি। কিন্তু কাউকে বুঝতে দিইনি যে আমি জানি না। আমি বিদেশের ফ্লাইটে প্রথম চড়েছিলাম শুধু খেয়াল রাখতাম পাশের লোকটি কি করছে। এভাবে শিখতে শিখতে আমি আজ এই জায়গাটায় এসেছি। ’অনুষ্ঠান থেকেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ঘুরিয়ে ইতিহাস বিকৃত করারও অভিযোগ এনেছেন মমতা। মমতা বলেন ‘হঠাৎ করে তাজমহল উঠিয়ে দেব না আবার হঠাৎ করে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালও উঠিয়ে দেব না। ইতিহাস ইতিহাসই। ইতিহাসকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা আমাদের কারও নেই। ভারতের ইতিহাসই এ দেশের সম্পদ।’

কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া পাওনা অর্থ না পাওয়া প্রসঙ্গে মমতা বলেন ‘আমাদের অনেক অর্থ আটকে রাখা হয়েছে এবং শুনেছি ২০২৪ সাল পর্যন্ত সেই অর্থ নাকি দেবে না। কিন্তু না দিক। দরকার হলে ভিক্ষা করব। শাড়ির আঁচল নিয়ে মায়ের কাছে যাব। কিন্তু দিল্লির কাছে ভিক্ষা চাইতে যাব না। আপনাদের সকলের সহযোগিতা, আশীর্বাদ ও শুভেচ্ছায় যেমন করেই হোক চালিয়ে নেব।’ মমতার অনুরোধ ‘আমার নিজের বলে কিছু নেই। আমার নিজস্বতা একটাই। মানুষ যেন কোনদিন আমাকে ভুল না বোঝে।’ সুত্র দৈনিক সমকাল

এসএ/এমএএস/এমউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন