নিউইয়র্ক     শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাইডেনের ‘স্বৈরশাসক’ মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলো চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৩ | ০২:২৪ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২২ জুন ২০২৩ | ০২:২৪ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বাইডেনের ‘স্বৈরশাসক’ মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলো চীন

জো বাইডেন ও শি জিনপিং। ফাইল ছবি : এপি

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ‘স্বৈরশাসক’ হিসেবে উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। বেইজিং বলছে, উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টার পর এই মন্তব্য অযৌক্তিক ও একটি উসকানি। বুধবার (২১ জুন) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বেইজিং সফরের একদিন পর শিকে স্বৈরশাসক উল্লেখ করে মন্তব্য করেন বাইডেন।

ক্যালিফোর্নিয়ায় তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেছেন, এই বছরের শুরুতে মার্কিন আকাশসীমায় সন্দেহভাজন চীনা গোয়েন্দা বেলুন ভূপাতিত করার ঘটনায় শি জিনপিং খুব বিব্রত। তার বিব্রত হওয়ার কারণ হলো যখন গোয়েন্দা সরঞ্জামে ভর্তি দুটি বক্সসহ বেলুন ভূপাতিত করি তখন তিনি জানতেন না এটি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় রয়েছে। এটি স্বৈরাশাসকদের জন্য খুব বিব্রতকর। কী ঘটেছে তিনি জানতেন না। এটির যুক্তরাষ্ট্রে আসার কথা না। অবশ্যই তা ভূপাতিত করা হয়েছে। যদিও সোমবার ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, এই অধ্যায় বন্ধ হওয়া উচিত।

অক্টোবরে কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান এবং মার্চে তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়ে মাও সে তুংয়ের পর সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতায় পরিণত হয়েছেন শি জিনপিং। তিনি এক দলীয় সরকার ব্যবস্থার প্রধান। বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী, পশ্চিমা নেতা ও শিক্ষাবিদরা এই ব্যবস্থাকে স্বৈরশাসন বলে থাকেন। কারণ এই ব্যবস্থায় স্বাধীন বিচারব্যবস্থা, মুক্ত সংবাদমাধ্যম বা সর্বজনীন ব্যবস্থা নেই। শি ও কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচকদের অনলাইনে সেন্সর করা হয় এবং তাদের আটক করা ঝুঁকি থাকে।

বাইডেন আরও বলেছেন, চীনের প্রকৃত অর্থনৈতিক জটিলতা রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, এটি চরম অযৌক্তিক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। চীনের তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, বাইডেনের এই মন্তব্য গুরুতরভাবে সত্য, কূটনৈতিক প্রটোকল ও চীনের রাজনৈতিক সম্মান খর্ব করেছে। এগুলো প্রকাশ্য রাজনৈতিক উসকানি।

শি জিনপিং চীনা বেলুনের গতিপথ সম্পর্কে জানতেন কি না প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র চীনের আগের ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, মার্কিন আকাশসীমায় বেলুনের উপস্থিতি পরিকল্পিত ছিল না। তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা পরিস্থিতির কারণে এটি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে।

সাংহাইয়ের ফুডান ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর আমেরিকান স্টাডিজের পরিচালক উ শিনবো বলেছেন, বাইডেনের বড় মুখ একটি খোলা কামান। দ্বিপক্ষীয় আস্থায় গুরুত্ব দিচ্ছে চীন। ফলে বাইডেনের মন্তব্য খুব ধ্বংসাত্মক ও ক্ষতিকর। তিনি আরও বলেন, শেষ পর্যন্ত চীন সফরে ব্লিঙ্কেন যা অর্জন করেছেন তা হয়ত পুরোপুলি ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে না বাইডেনের এমন মন্তব্যে।

শেয়ার করুন