নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রায় ২০০ তিমির মৃত্যু যে কারণে

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১০:২১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১০:২১ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
প্রায় ২০০ তিমির মৃত্যু যে কারণে

ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্যের একটি সৈকতে প্রায় দুই শ পাইলট তিমির মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় উদ্ধারকর্মীরা গত বৃহস্পতিবার জানান, আটকে পড়া ২৩০টি তিমির মধ্যে কেবল ৩০টি জীবিত ছিল।

এতগুলো তিমি কী কারণে সেখানে আটকা পড়েছিল, আর তাদের সুরক্ষার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেয়া যেত, সেসব নিয়ে প্রাণী গবেষকরা অনুসন্ধানে নেমেছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপি নিউজিল্যান্ডের মাসেই ইউনিভার্সিটির তিমি বিশেষজ্ঞ ক্যারেন স্টকিনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এ বিষয়ে একটি ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, বিভিন্ন কারণে তিমি সৈকতে আটকা পড়তে পারে। প্রাকৃতিক কারণেও এটা হয়ে থাকে। যেমন: মহাসাগরের তলদেশের আকৃতি। পাইলট তিমি ও বিভিন্ন প্রজাতির ছোট ডলফিনগুলো প্রায়ই গণহারে আটকা পড়ে, বিশেষত দক্ষিণ গোলার্ধে। তাসমানিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের গোল্ডেন বে অঞ্চলে আগেও এমন দেখা গেছে। আর উত্তর গোলার্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কেপ কড উপসাগর এবং ম্যাসাচুসেটসে এমন ঘটতে দেখা যায়।

সাগরের যেসব অংশে মানুষের চলাচল বেশি, সেসব স্থানে জাহাজের যাতায়াত এবং রাসায়নিক দূষণও তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। এমন এলাকায় তিমিসহ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর একযোগে সৈকতে আটকা পড়ার ঝুঁকিও বেশি। পাশাপাশি প্রাণীগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়া অসুখ-বিসুখের কারণেও গণহারে আটকা পড়ে মৃত্যু হতে পারে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এমন ঘটেছে কি না সে বিষয়ে মন্তব্য করার মতো পর্যাপ্ত গবেষণা এখনো হয়নি বলে জানিয়েছেন স্টকিন। একসঙ্গে এত তিমির মৃত্যুর এমন ঘটনা আটকানোর উপায় আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে নেই। বহুবিধ কারণে এমন ঘটে থাকে। তাই একক পন্থায় সমাধানের উপায় নেই। তবে আবহাওয়া সম্পর্কে আরও বিশদভাবে জানতে পারলে হয়তো কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা খুঁজে বের করা সম্ভব হবে।

পরিচয়/টিএ

শেয়ার করুন